পার্থর জামিন নিয়ে মতানৈক্য দুই বিচারপতির, হাই কোর্টেই কল্যাণ-শান্তিময়দের ভাগ্যও
প্রতিদিন | ২০ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারপতিদের মতানৈক্য। জামিন পেয়েও জেলমুক্তি হচ্ছে না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ-সহ পাঁচজন অভিযুক্তের জামিন নিয়ে মতানৈক্য দেখা গেল দুই বিচারপতির। যার জেরে মামলা গেল প্রধান বিচারপতির কাছে। পার্থদের জামিন নিয়ে এবার তৃতীয় বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই পার্থদের জামিন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর গ্রেপ্তার হন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। গ্রেপ্তার হওয়ার ১৩ মাস পর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু লাভ হয়নি। পরবর্তীতে গত অক্টোবরে পুজোর ছুটির আগে ফের জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। জামিন মামলা গ্রহণ করে বিচারপতিরা নিম্ন আদালতকে দ্রুত শুনানির নির্দেশ দেয়। এ নিয়ে সব পক্ষকে নোটিস জারি করে শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহা-সহ মোট ৯ জন।
পার্থ-সুবীরেশ-কল্যাণময়দের জামিন নিয়ে পরবর্তীতে দীর্ঘ শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ৭ অক্টোবর শেষ হয় শুনানি। তবে সেদিন আদালত রায়দান স্থগিত রেখেছিল। বুধবার রায়দানের সময় দেখা গেল দুই বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন। মামলা শোনার পর বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সব অভিযুক্তকেই জামিন দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় পার্থ-সহ পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেননি। প্রভাবশালী তত্ত্বে চারজনের জামিন খারিজ করে দেন তিনি। বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায় শুধু ধৃত কৌশিক ঘোষ, আলি ইমাম, সুব্রত সামন্ত ও চন্দন মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করেন। ফলে এই চারজনের জামিনে বাধা না থাকলেও পার্থ-সহ হেভিওয়েটরা কেউই বুধবার জামিন পেলেন না।
এদিন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি ফের প্রধান বিচারতির কাছে পাঠানোর সুপারিশ করেছে। এরপর প্রধান বিচারপতি নতুন করে বেঞ্চ গঠন করবেন। সেই বেঞ্চই পার্থদের মামলা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।