ইডি সূত্রের দাবি, যে হেতু এটি আর্থিক দুর্নীতির মামলা এবং প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও এই মামলায় অভিযুক্ত, তাই বাকিবুরকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। ওই সূত্র জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে বাকিবুরের সম্পর্ক রয়েছে এবং এই মামলায় টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে বাকিবুরের বিরুদ্ধে। এ ক্ষেত্রে দুবাইযোগের কথাও জানতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। সব দিক থেকে বিবেচনা করেই বিদেশযাত্রায় আপত্তি জানানো হয়েছে বলে দাবি ওই সূত্রের।
রেশন দুর্নীতির মামলায় গত বছরের ১৩ অক্টোবর বাকিবুরকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। চালকল, হোটেল-সহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে তাঁর। রেশন দুর্নীতি মামলাতেও তিনি জড়িত বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। গত অগস্ট মাসে বিশেষ ইডি আদালত থেকে জামিন পান বাকিবুর। জামিনের তিন মাস পরে এ বার বিদেশযাত্রার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ রেশন দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। বাকিবুরের সঙ্গেই জামিন পেয়েছিলেন রেশন দুর্নীতি মামলায় অপর অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাস। তিনিও জামিনের পর দুবাই যাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। বিশ্বজিতের আবেদন ইতিমধ্যে মঞ্জুর করেছে আদালত। এ বার বাকিবুরের ক্ষেত্রে আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা নিয়ে কৌতূহল বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় বাকিবুরের চালকল রয়েছে। ইডি রেশন দুর্নীতির তদন্ত শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে চর্চায় উঠে এসেছে বাকিবুর এবং তাঁর চালকলের প্রসঙ্গ। বাকিবুরের চালকল এবং কৈখালির ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রের দাবি, বাকিবুরের বাড়ি থেকে পাওয়া নথির সূত্র ধরে রেশন দুর্নীতি মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের নাগাল পেয়েছেন তাঁরা।