কলকাতার কসবায় তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কী ভাবে অস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীরা দাপাদাপি করছে, তা জানতে চান মন্ত্রী। ওই ঘটনার পর থেকে নানা জায়গায় বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মঙ্গলবার চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে। মঙ্গলবার ডানকুনি থেকে এক ফেরিওয়ালাকে-অস্ত্র সহ ধরা হয়। পরে জানা যায়, ধৃতের নাম মইনুদ্দিন মোল্লা। ডানকুনির খুশাইগাছি এলাকা থেকে তাঁকে ধরা হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে, ধৃতের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলীতে। বর্তমানে তিনি ডানকুনির মৃগালার তেঁতুলতলায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এক জন ফেরিওয়ালা কী ভাবে বন্দুক এবং কার্তুজ পেলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, পুলিশের খাতায় রঞ্জিত ওরফে কালু বেশ পরিচিত নাম। চন্দননগর, শ্রীরামপুরে বিভিন্ন দুষ্কৃতী কার্যকলাপে তাঁর যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে দশমীর সকালে শ্রীরামপুরের একটি নার্সিংহোমে ঢুকে কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার তদন্ত নেমে হাওড়া স্টেশন থেকে দীপক সিংহ ওরফে পাঙ্গা এবং কৌশিক নাথ নামে ওই দু’জনকে ধরা হয়। সব মিলিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চন্দননগর কমিশনারেটের কর্তারা ওই ঘটনাতেও কেলোর হাত দেখেছেন। ধৃতেরা সকলে কেলোরই শাগরেদ বলে দাবি করা হয়। এমন বহু অপরাধের ঘটনায় নাম জড়ানো কেলোর গ্রেফতারি নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শ্রীরামপুরে।