বুধবার সকালে গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন মিতালির দুই পুত্র। তাঁদের মধ্যে কনিষ্ঠ শুদ্ধসত্ত্ব গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। বিবেকানন্দ পার্কের কাছে তাঁদের গাড়ির ধাক্কায় এক প্রৌঢ়া জখম হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাস্তার এক পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন প্রৌঢ়া। আচমকা তিনি গাড়ির সামনে চলে আসেন। উল্টো দিক থেকে ওই সময়ে আরও একটি গাড়ি আসছিল। দু’টি গাড়ির মাঝে পড়ে তিনি কিছুটা থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন। ফলে ঠিক সময়ে সরে যেতে পারেননি। গাড়ির ধাক্কা লাগে তাঁর গায়ে। তিনি রাস্তার উপর পড়ে যান।
গাড়ি থামিয়ে কাউন্সিলরের পুত্রই বেরিয়ে এসেছিলেন। প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে দেন এবং সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। এর পর কনিষ্ঠ পুত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই প্রৌঢ়ার নাম তারা সাহা। তিনি হালতুর বাসিন্দা।
প্রৌঢ়াকে ধাক্কা মারার অভিযোগে শুদ্ধসত্ত্বের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮১, ১২৫বি, ৩২৪ (৪) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। প্রত্যেকটিই জামিনযোগ্য ধারা। ফলে বিকেলের মধ্যে থানা থেকেই তিনি জামিন পেয়ে যান।
মিতালি বলেন, ‘‘আমার দুই ছেলে বিবেকানন্দ পার্কের কাছে চা খেতে গিয়েছিল। ফেরার সময়ে লেক কালীবাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। উল্টো দিক থেকেও একটা গাড়ি আসছিল। দুই গাড়ির মাঝে পড়ে বয়স্ক মহিলা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উনি পড়ে যান। আমার ছেলেরাই উদ্ধার করে ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসএসকেএমে কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়েছে। বড় ছেলে সেখানেই ছিল সকাল থেকে। ওঁর পরিবারের লোকজনও সহযোগিতা করেছেন। আমার ছেলে ভাল গাড়ি চালাতে পারে। ও কাউকে ধাক্কা দেয়নি। আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়েছে।’’