শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়ির সামনেই সুশান্তকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করেন এক তরুণ। একেবারে সামনে থেকে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু বন্দুক কাজ করেনি। পরে সুশান্ত এবং তাঁর অনুগামীরাই ধরে ফেলেন ওই যুবককে। ধৃতের নাম যুবরাজ সিংহ। বিহারের বাসিন্দা যুবরাজকে জেরা করেই পুলিশ জানতে পারে, স্থানীয় এক ব্যক্তিই তাঁকে খুন করার বরাত দিয়েছিলেন। বিহার থেকে ভাড়া করা হয়েছিল ওই ‘শুটার’কে। জেরায় যুবরাজই গুলজ়ারের নাম জানিয়েছিলেন। এর পর শনিবারই ‘মূলচক্রী’ গুলজ়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে দিন সুশান্ত এলাকা রেকি করতে গিয়েছিলেন, সেই দিন বেলার দিকে তাঁর স্ত্রী এলাকা ছাড়েন। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই দিন গুলজ়ারের বাড়ির সামনে একটি ট্যাক্সি দাঁড়িয়েছিল। পরে ওই ট্যাক্সি করেই এলাকা ছাড়ে গুলজ়ারের পরিবার। আপাতত সেই ট্যাক্সির খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। গুলজ়ারের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। যদিও বাড়ি থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। বাড়ি ছাড়ার সময় তাঁরা ঘর পরিষ্কার করে রেখে গিয়েছিলেন বলেই মনে করছে পুলিশ।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, কসবার ঘটনা এখনও এলাকা ও জমি দখল নিয়ে বিবাদের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার রুবি হাসপাতাল লাগোয়া আনন্দপুর এলাকার গুলশন কলোনিতে থাকতেন গুলজ়ার। সেখানে তাঁর জমি-বাড়ি রয়েছে। কয়েক বছর আগে দুবাইয়ে কাজ করতেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে রোজগার করা অর্থ গুলশন কলোনিতে ২০০০ বর্গফুটের একটি জমিও কিনেছিলেন গুদাম করবেন বলে। পুলিশি জেরায় গুল়জ়ার দাবি করেছিলেন, তাঁর ২০০০ বর্গফুটের ‘জায়গা’ দখল করে নিয়েছিলেন কাউন্সিলরের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত হায়দর নামে এক প্রোমোটার। এই নিয়ে সুশান্তকে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। সেই রাগ থেকেই সুশান্তকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি অভিযুক্তের। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, গুলজ়ার যে জমির কথা বলেছিলেন জেরায়, সেই জমির নথি ভুয়ো।