সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিসে পৌঁছন সুশান্ত। ছিলেন প্রায় রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনতে চাননি শাসকদলের কাউন্সিলর। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, কসবা অঞ্চলের রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়ে দলীয় কাউন্সিলরের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন অভিষেক। বৈঠকে এ বিষয়ে তিনি নিজের মতামত জানিয়েছেন সুশান্তকে। আগের মতোই কাউন্সিলর এবং বরো চেয়ারম্যান হিসাবে তাঁকে দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনার পর দল যে তাঁর পাশে রয়েছে, সেই বার্তাও কাউন্সিলরকে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কসবা অঞ্চলে শাসকদলের ‘অন্তর্কলহ’-এর কথা মাঝেমধ্যেই শোনা যায়। আগে এক দশক ধরে পাশের ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন সুশান্ত। বর্তমানে তিনি ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এই দুই পাশাপাশি ওয়ার্ডকে ঘিরে বেশ কিছু গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ অতীতে উঠে এসেছে। এই আবহে বুধবার সন্ধ্যায় অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে কসবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সুশান্তের আলোচনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন সুশান্ত।
শুক্রবার মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরার পর বুধবার প্রথম কলকাতা পুরসভায় যান সুশান্ত। মেয়রের ঘরে বসে বৈঠক করেন ফিরহাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ফিরহাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কাউন্সিলর। মেয়রও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে পুরসভা সূত্রে খবর।