ভেঙে পড়ছে ছাউনি, বিপজ্জনক অবস্থায় চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, তেহট্ট: ভেঙে পড়ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাউনি। তারমধ্যেই চলছে শিশুদের লেখাপড়া। তাই যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী থেকে অভিভাবকরা। প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। যদিও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাটি তেহট্ট-১ ব্লকের চাঁদের ঘাটগ্রাম পঞ্চায়েতের কুষ্টিয়া গ্রামের তিন নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট থানার চাঁদের ঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কুষ্টিয়া এলাকায় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে প্রসূতি ও শিশু মিলে চল্লিশ জন যায়। দীর্ঘদিন আগের একটি বাড়িতে এই কেন্দ্র চলে। এটির ছাউনি ছিল টিনের। এই কেন্দ্রটির বর্তমানে ভগ্নদশা। ছাউনি ভেঙে পড়েছে। দেওয়ালে ফাটল ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে এই ঘর। ক্ষতি হতে পারে শিশু থেকে প্রসূতি মায়েদের। এই কেন্দ্র সংস্কার করার জন্য বেশ কয়েকবার স্থানীয় বাসিন্দারা তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও, মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আবেদন জানালেও আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। এমনকী এলাকার ক্লাবের ছেলেরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে ওই ঘরেই শিশুদের নিয়ে ক্লাস ও খাবার দিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়ক। স্থানীয় বাসিন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জনার্দন ঘোষ বলেন, এই কেন্দ্রের ঘরের এমন দশা, যে কোনও সময় এটা ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটতে পারে। আমরা এই কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনের সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু কিছুই হয়নি। এক অভিভাবক সুমন মণ্ডল বলেন, আমি খুব ভয়ে ভয়ে বাচ্চাকে এই কেন্দ্রে পাঠাই। যতক্ষণ না বাড়ি ফেরে ততক্ষণ চিন্তায় থাকি। তাই বৃষ্টি বা জোরে বাতাস দিলে আমি আমার বাচ্চাকে কেন্দ্রে পাঠাই না। সংস্কারের জন্য আমরা শিশু ও প্রসূতিদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি। এই বিষয়ে তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, সিডিপিও-র মাধ্যমে আমাদের জানালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।