কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চালু হয়নি, আতঙ্কিত রোগীর স্বজনরা
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে তিন বছরেও চালু হল না আধুনিক মানের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও তা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে রোগীর আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে। হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য জলের পাইপলাইন তৈরি করা রয়েছে। হাসপাতালের বাড়ি বাড়ছে। কিন্তু অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা কার গাফিলতিতে এখনও চালু হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার বিপ্লব মণ্ডল বলেন, আমাদের হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনও কর্মী নেই। অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের পাইপলাইন রেডি। এমনকী জলের জন্য রিজার্ভারও করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন চালু হচ্ছে না বুঝতে পারছি না। আমরা দমকল বিভাগকে চিঠি করেছি। তবে হাসপাতালে ইমার্জেন্সি হিসেবে ছোট অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার রাখা আছে।
জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা খরচ করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ২০২১ সালে পূর্তদপ্তর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তৈরি করে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাইপলাইনও রেডি। পাইপলাইনে স্প্রিঙ্কলার যন্ত্র বসানো রয়েছে। আগুন লাগলেই স্প্রিঙ্কলারগুলি দিয়ে জল পড়বে। পাশাপাশি ফায়ার অ্যাল্যার্ম বসানো আছে। ধোঁওয়া বের হলেই ফায়ার অ্যাল্যার্ম বেজে উঠবে। তারপরেই পুরো সিস্টেম চালু হয়ে যাবে। কিন্তু হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা চালানোর জন্য একজন প্রশিক্ষিত কর্মীর দরকার। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সেই কর্মীই নেই। আগুন লাগলে হাসপাতালের কর্মীদের ফায়ার এক্সটিংগুইসারই হাতিয়ার।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সদ্য চারতলা একটা নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছে। সেখানেও নতুন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রয়েছে। কিন্তু এসব চালু না হলে বিপদের সময় দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। রোগীর পরিবারের লোকরা বলছেন, কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পুরুষ, মহিলা, শিশু ওয়ার্ড নিয়ে মোট ২৫৪টি শয্যা রয়েছে। কোনওভাবে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এতগুলি অসহায় মানুষের কী অবস্থা হবে সে কথা কি ভেবে দেখেছে কেউ।-নিজস্ব চিত্র