দুর্গাপুর-ফরিদপুরের প্রতাপপুরে রাস্তা ও নর্দমার বেহাল দশা, সংস্কারের দাবি
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রামের রাস্তা ও নর্দমার বেহাল দশা। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, নর্দমা না থাকায় গ্রামের প্রধান রাস্তা থেকে গলির কংক্রিটের রাস্তা একপ্রকার নর্দমার রূপ নিয়েছে। কংক্রিটের রাস্তা খানাখন্দে ভরে উঠেছে। ভোগান্তির চলাফেরার পাশাপাশি নর্দমার দূষিত জলের উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয় নিত্যদিন।
দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক দুর্বলতার কারণে সংস্কারের কাজ করা যাচ্ছে না। বিভিন্নভাবে রাজস্ব সংগ্রহ করেই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবারের বসবাস। বাম আমল থেকেই গ্রামের প্রতিটি রাস্তাই কংক্রিটের। তবে নিকাশি নালা অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় বেহাল অবস্থা হয়েছে রাস্তার। নালা ও নর্দমার জল রাস্তা দিয়েই বয়ে চলেছে। সারাবছর একই চিত্র দেখা যায়। রাস্তার ওই জলে হাঁস চড়ে বেড়ায়। আবার অধিকাংশ এলাকায় নিকাশি নালা নেই। রাস্তার অবস্থাও বেহাল হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা তৃপ্তি মণ্ডল বলেন, কালীকাপুর এলাকার নর্দমার জলও এই গ্রামের রাস্তা দিয়ে বয়ে চলে। এছাড়াও গ্রামে নর্দমা নেই। যেগুলি আছে সেগুলির বেহাল অবস্থা। কালীকাপুরের বাসিন্দা রুমকি হাজরা বলেন, প্রতাপপুর গ্রামটি ঢালু হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জল নীচের দিকে চলে যায়। প্রশাসন সুপরিকল্পিতভাবে নর্দমা নির্মাণ করলেই সমস্যার সমাধান হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা সরোজ মণ্ডল ও সনাতন লাহা বলেন, সেই বাম আমলে রাস্তা নির্মাণ হয়েছে। বর্তমানে বেহাল রাস্তা ও নর্দমার দ্রুত সংস্কার করার প্রয়োজন আছে।
বিডিও অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় বলেন, এই ব্লকের মধ্যে প্রতাপপুর গ্রাম পাঞ্চায়েত একটি বড় এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছে। কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় রাজস্ব কম আসে। যার কারণে এই সব কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এলাকার কংক্রিটের বাড়িগুলি থেকে ও এলাকার সংস্থাগুলি থেকে রাজস্ব আদায়ের একটি ভাবনাচিন্তা করেছি। এছাড়াও এবারের অর্থবর্ষে সংস্কারের কাজের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সংস্কারের কাজগুলি করা হবে।-নিজস্ব চিত্র