• দিনে ও রাতে তাপমাত্রার হেরফের, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন সাধারণ মানুষ  
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: জ্বর, সর্দি, কাশিতে কাবু রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে। মেডিসিনের ডাক্তারকে দেখানোর জন্য লাইনে জ্বর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন শতাধিক রোগী। কেউ কেউ এতটাই দুর্বল যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে মেঝেতেই বসে পড়ছেন। 

    দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা। তাপমাত্রার ব্যাপক হেরফেরে ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের আবহাওয়ায় ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে। জ্বর ও কাশি এক সপ্তাহের কাছাকাছি ভোগাচ্ছে মানুষকে। পাশাপশি অ্যালার্জির সমস্যায়ও ভুগছে অনেকেই। 

    মঙ্গলবার ও বুধবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। অথচ দিনের বেলায় তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। মুর্শিদাবাদ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, গত কয়েকদিনে পারদ নেমেছে সন্ধ্যার পর। আর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চড়চড় করে বাড়েছে তাপমাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে মানবদেহে। দিনের বেলায় গরম লাগলেও, সন্ধ্যা নামতেই বেশ ঠান্ডার শিরশিরানি অনুভূত হচ্ছে। তাই বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলছেন ডাক্তাররা। 

    মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, দিনে গরম লাগছে এবং রাতে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। যার ফলে সর্দিকাশি ও অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে। এই সময় একটু সাবধানে থাকতে হবে। 

    তবে চিকিৎসকরা কেউ কেউ বলছেন, দিনে ও রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্য ঘটছে। এই সময় সকালের দিকে একটু উষ্ণ গরম জল খেতে পারেন। এই সময় রাতের দিকে বেশ ঠান্ডা পড়ছে। বিকেলের পর বাইরে বেরলে গরম জামা পরতে হবে। সকালের দিকেও ঠান্ডা লাগালে সমস্যা বাড়বে। শিশু ও বয়স্কদের এই ঋতু পরিবর্তনের সময়ে বাড়তি সাবধানতা নেওয়া প্রয়োজন। 

    এই সময়ে শিশুদেরও হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে। পেডিয়াট্রিক বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, এই সময় ঠান্ডা ও গরমের যে তারতম্য তাতে বিভিন্ন  ভাইরাস সহজে বংশ বিস্তার করতে পারে। সে কারণেই শিশুদের সর্দিকাশি, জ্বর বাড়ছে। এই সময় অ্যালার্জি বাড়ে বাচ্চাদের। এছাড়া কনজাংটিভাইটিস ও ফ্যারিঞ্জাইটিস রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সতর্ক থাকলেই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে। বহরমপুরের বাসিন্দা অপূর্ব মণ্ডল বলেন, দুপুরে বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে বেশ গরম লাগছে। অফিস শেষে রাতে বাড়ি ফিরতে ভালোই ঠান্ডা লাগছে। বাইক চালাতে গিয়ে ঠান্ডা লেগে এখন কিছুতেই সর্দি কমছে না। মেডিক্যাল কলেজে আসা রোগীরা অধিকাংশই বলছেন, এত কাশি হচ্ছে যে বুক ও পেট ব্যথা হয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা তো আছেই। অনেকে আবার বলেন, হঠাৎ করে কীভাবে ঠান্ডা লেগে গেল জানি না। সর্দি বসে গিয়েছে। কাশির সঙ্গে বেশ সর্দি উঠছে। ছবি: এআই 
  • Link to this news (বর্তমান)