• ভোটের আগে তড়িঘড়ি শিলান্যাস, স্টেশন নির্মাণের কাজ ঠান্ডা ঘরে
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: লোকসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি ঘটা করে শিলান্যাস হয়েছিল। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ন’মাস। দীঘা-তমলুক রেলপথে ভগবানপুর-২ ব্লকের ঘোলবাগদা এলাকায় হল্ট স্টেশনের কাজ থমকে রয়েছে। বর্ষার আগে স্টেশন গড়ার জন্য শুধু মাটি ভরাট করা হয়েছিল। এছাড়া আর কোনও কাজই হয়নি। রেলের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে হল্ট স্টেশন গড়ার কাজ শুরু হোক। 

    দীঘা-তমলুক রেলপথে নাচিন্দা ও হেঁড়িয়ার মাঝে কোনও স্টেশন নেই। তাই ভগবানপুর-২ ব্লকের বরোজ, অর্জুননগর সহ পার্শ্ববর্তী পটাশপুর-২ ব্লকের আড়গোয়াল, মথুরা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের ট্রেন ধরতে হেঁড়িয়া বা নাচিন্দা স্টেশনে যেতে হয়। কাঁথি-৩ ব্লকের কানাইদিঘি ও কুমিরদা পঞ্চায়েত একাংশের বাসিন্দাদের নাচিন্দায় গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। সেকারণে দু‌ই স্টেশনের মাঝামাঝি একটি স্টেশনের দাবি তোলা হয়। এলাকার জনপ্রতিনিধিরা রেলমন্ত্রকের কাছে এই দাবি তুলে ধরেন। বছরদুয়েক আগে রেলের তরফে সমীক্ষা সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীকালে ঘোলবাগদায় হল্ট স্টেশন গড়ার অনুমোদন দেয় রেল। জায়গা অধিগ্রহণ হয়। চলতি বছর ১মার্চ হল্ট স্টেশনের শিলান্যাস করেন কাঁথির তৎকালীন সাংসদ শিশির অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। তারপর মাটি ভরাটের কাজও হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের আকস্মিক মৃত্যুতে কাজ থমকে যায়। প্রস্তাবিত স্টেশনের পাশেই বাড়ি চিত্তরঞ্জন আদক, সমরেন্দ্রনাথ দাসের। তাঁরা বলেন, স্টেশনটি গড়ে উঠলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে খুব সুবিধা হবে। এলাকার উৎপাদিত সব্জি সহ নানা সামগ্রী ট্রেনে পরিবহণে সুবিধা হবে। এখনও স্টেশন ও টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে অনেক কাজই বাকি। দ্রুত কাজ শুরু হোক।

    ভগবানপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকাবাসীকে চমক দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি শিলান্যাস করা হয়েছিল। বিজেপি মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদের দিকে ভোট টানার চেষ্টা করছিল। আসলে রেলের কোনও সদিচ্ছা নেই। ন’মাস অতিক্রান্ত হলেও মাটি ভরাট ছাড়া কোনও কাজ হয়নি। এটা বিজেপির জুমলাবাজি। ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, মাটি ভরাট হয়ে গিয়েছিল। ঠিকাদার আচমকা মারা যাওয়ায় কাজ থমকে যায়। আমরা নিয়মিত রেলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ঠিকাদারকে বাতিল করা হলে কিংবা কেউ মারা গেলে নতুনভাবে টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু হয়। সেইমতো নতুন করে টেন্ডার হবে। তাঁর দাবি, আগামী ডিসেম্বর মাসে স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)