• অন্ধকারে ডুবে থাকে হাতির বাড়ির রাস্তা, নদীর পাশ দিয়ে চলাচলে দুর্ঘটনার শঙ্কা
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: একদিকে জর্দা নদী, অপরদিকে বাঁশ ঝাড়। মাঝ দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা। পথবাতিহীন রাস্তায় সন্ধ্যার পর দুর্ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে চলছে যাতায়াত। স্থানীয়রা চাইছেন, গোটা রাস্তায় পথবাতি বসানো হোক। এলাকাটি খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত। এই রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ খাগড়াবাড়ি, জল্পেশ, সাপটিবাড়ি সহ নানা এলাকায় প্রতিদিন প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। বিভিন্ন যানবাহনও এই রাস্তা দিয়েই চলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কিছু পথ বাতি বিকল হয়ে রয়েছে। আরও কিছু বাতির প্রয়োজন রয়েছে।

    ময়নাগুড়ির হাতির বাড়ি এলাকার এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তায় বেশ কিছু পথ বাতির খুঁটি রয়েছে। কিছু খুঁটিতে দিনের বেলায় লাইট জ্বলছে। আবার কোথাও বাতি খারাপ হয়ে রয়েছে। ফলে কোনও কোনও জায়গা সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। অথচ সেখানে নেই পথ বাতি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অগণিত মানুষ ও যান চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে ময়নাগুড়ি বাজারে আসেন লোকজন। রাস্তাটি খুব বেশি চওড়া নয়। একাধিক গাড়ি একই সময়ে চলাচল করলে সমস্যা হয়। এদিকে টোটো রয়েছে। অন্যপাশে, নদী থাকায় অন্ধকার রাস্তা থেকে নদীতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকছে।

    কৌশিক চট্টোপাধ্যায় নামে এক টোটোচালক বলেন, ওই রাস্তা দিয়ে টোটো চালাতে সমস্যা হয়। কিছুটা জায়গা অন্ধকারে ডুবে থাকে। কিছু এলাকায় বাতি খারাপ। একটি জায়গায় নদীটির পাড় ভয়ানক অবস্থায় রয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে।  স্থানীয় বাসিন্দা সুদেব সাহা বলেন, দোকান থেকে রাতে এই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরতে সমস্যা হয়। আমরা চাই, পথবাতি সংস্কার করা হোক। এই রাস্তায় আরও কিছু বাতি লাগানো হোক। এই বিষয়ে খাগড়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সীমা রায় বলেন, পথবাতির বিল জেনারেল ফান্ড থেকে দিতে হয়। বেশিরভাগ মানুষজন ওই এলাকার ট্যাক্স দিতে আসেন না। এরপরও আমরা পথবাতি সংস্কার করেছি। কিছু খারাপ হয়ে থাকলে সেগুলি সংস্কার করা হবে। তবে মানুষকে কর দিতে হবে।

    ( এই রাস্তাতেই আলো লাগানোর দাবি উঠেছে। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)