কাল বোল্লাকালী পুজো, সরাইহাটে কালো পাঁঠার দর পৌঁছে গিয়েছে ১২ হাজার টাকায়
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: বোল্লা রক্ষাকালী পুজোর আগে কালো পাঁঠার দাম বাড়ল প্রায় তিনগুণ। বুনিয়াদপুরের সরাইহাটে একটি কালো পাঁঠা বিক্রি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকায়। জেলার মধ্যে অন্যতম বুনিয়াদপুরের সরাইহাট। জেলা ও জেলার বাইরের ক্রেতা-বিক্রেতারা আসেন সেখানে। ২২ নভেম্বর বোল্লাকালী পুজোর দিন ভক্তরা মিষ্টি ভোগ থেকে শুরু করে সোনা ও রুপোর গয়না মানত করে থাকেন। এখনও রীতি মেনে পুজোর রাতে বলি হয়। এবারও পুজোর আগে বলির কালো পাঁঠা কিনতে মানুষ ভিড় করেন বুনিয়াদপুরের সরাইহাটে। চাহিদা থাকায় এক একটি কালো পাঁঠা বিক্রি হল ১১ থেকে ১২ হাজার টাকা দরে। যে পাঁঠার অন্যসময় দাম থাকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।
শুধু জেলা নয়, গৌড়বঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভক্তেরা কালো পাঁঠা কিনতে আসেন। কিন্তু সংখ্যায় কম থাকায় অনেকে সাদা-কালো পাঁঠা কিনেই বাড়ি ফেরেন। অনেকে আবার মালদহের গাজোল, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে বোল্লা মায়ের জন্য মানতের পাঁঠা কেনেন। ছাগল বিক্রেতা আনিসুর রহমান বলেন, জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাঁঠা কিনে হাটে এসেছি। একবারে কুচকুচে কালো পাঁঠা খুব কম পাওয়া যায়। অনেকে সাদা-কালো পাঁঠাও কিনে নিয়ে গিয়েছেন। কালিয়াগঞ্জের ক্রেতা নিমাই সরকার বলেন, কুচকুচে কালো পাঁঠা মানত করেছি মা বোল্লার কাছে। সময়মতো জেলার হাটে কিনতে পারিনি। সামনেই পুজো। তাই সরাইহাটে আসতে হয়েছে ছাগল কিনতে।
পুজোর আগে কালো পাঁঠার দাম শুনে অবাক তিনি। চার-পাঁচ হাজারের কালো পাঁঠা বিক্রি হচ্ছে ১১-১২ হাজারে। পুজোর আগে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হন তিনিও। নিমাই সরকার বলেন, মায়ের কাছে মানত রয়েছে। কিনতে হবেই। সারা হাট ঘুরে কালো পাঁঠা কিনে তবেই বাড়ি ফেরেন তিনি। পুজোর দিন রাতে মায়ের মন্দিরে পৌঁছে যাবেন সপরিবার। - নিজস্ব চিত্র।