কলিগ্রামে রাস্তার ধারে একাধিক আমবাগান রয়েছে। অভিযোগ, একের পর এক গাছ নির্বিচারে কাটা হচ্ছে। বাগানের মালিক মফিজুদ্দিনের দাবি, এর আগে অনুমতি নিয়ে গাছ কেটেছিলাম। পরে ছয়টি গাছ কাটার জন্য দপ্তরে কথা বলেছি। যদিও চাঁচল রেঞ্জের এক আধিকারিক অশোককুমার দাস বলেন, অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছিল। ছয়টি গাছের গুড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। চাঁচলের বাসিন্দা মাহামুদুল হাসান বলেন, যতই দিন যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছের সংরক্ষণ নিয়ে সকলকেই ভাবা উচিত। বেআইনিভাবে গাছ কাটা রুখতে প্রশাসনকেও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। আম ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেনের কথায়,আমের জন্য আমাদের জেলা বিখ্যাত। অর্থনৈতিকভাবে প্রতিবছর লাভবান হই আমরা। এভাবে গাছ কাটা হলে ফলন কমবে। লোকসান হবে। চাঁচল মহকুমা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক অরিন্দম ভুঁইয়া বলেন, গাছ কাটা কমিয়ে পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে আমরা মানুষকে সচেতন করি। সবুজায়নের লক্ষ্যে দপ্তরের তরফে এবছর কয়েক লক্ষ বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ বিলি করা হয়েছে। তারপরও কীভাবে গাছ কাটা হচ্ছে সেটা বনদপ্তর বলবে।