জংশনে চাকু নিয়ে চড়াও, মারাত্মক জখম দুই যুবক, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত
বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার রেল জংশনে খুনের চেষ্টা। মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ এক দুষ্কৃতীর চাকুর হামলায় মাছ বিক্রেতা দুই যুবক জখম হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জখম দুই যুবকের নাম রাজেশ সাহানি ও কবীর সাহানি ওরফে সোহম। পুলিস রাতেই অবশ্য চাকু সহ অভিযুক্ত যুবক রমেশ সাহানিকে গ্রেপ্তার করেছে। চাকুর আঘাতে জখম যুবক রাজেশের বাঁ কান কেটে যায়। তাঁর কানে চারটি সেলাই পড়েছে। অন্যদিকে, কবীরের পেটে চাকু ঢুকে যায়। তাঁকে কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। কবীরের অবস্থা সঙ্কটজনক। আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা চলছে।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে দুর্গাপুজোর দশমীর রাতে জংশনে খুন হয়েছিল আলিপুরদুয়ার পুরসভার আনন্দনগরের যুবক আনন্দ কুণ্ডু ওরফে পাপ্পা। এরপর গত বৃহস্পতিবার জংশনের উত্তর চেঁচাখাতার সূর্য সেন পল্লিতে এক যুবকের কাঠের বাটামে মৃত্যু হয় প্রীতালতা আচার্য নামে এক বৃদ্ধার। যুবকের কাঠের বাটামের আঘাতে জখম হন বৃদ্ধার ছেলে, বউমা ও নাতনি। তাঁরা এখনও হাসপাতালে চিকিসাধীন। সেই সব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার দুই যুবকের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জংশন এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নর্থ পয়েন্টের বৌদ্ধ গুম্ফার কাছে রাস্তার পাশে বসেছিলেন রাজেশ ও কবীর। তখনই চাকু হাতে নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয় রমেশ সাহানি। ধৃত যুবক এলাকায় সমাজবিরোধী হিসেবেই পরিচিত। আগে একবার জেলও খেটেছে সে। পুলিস জানিয়েছে, পুরনো কোনও ঘটনার জেরেই সম্ভবত ধৃত যুবক ওই দুই যুবকের উপর ধারালো চাকু নিয়ে চড়াও হয়েছিল। ঘটনার পরেই উত্তেজিত বাসিন্দারা অভিযুক্তকে ধরে ফেলে বেঁধে রেখে উত্তমমধ্যম দেয়। পরে পুলিস গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
বুধবার ধৃত যুবককে আলিপুরদুয়ারে আদালতে তোলে পুলিস। আলিপুরদুয়ার থানার পুলিস জানিয়েছে, আদালত ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। জংশনে একের পর খুন ও খুনের চেষ্টার ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বাসিন্দারা চাইছেন, সমাজবিরোধী ও রাস্তার মদ্যপদের বিরুদ্ধে পুলিস আরও কড়া হোক। রাতে টহলদারি আরও বাড়ানো হোক। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, জংশনে দুই যুবককে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্ত এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। জংশনে পুলিসের নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।