নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডাঃ সুদীপ্ত রায় ও ডাঃ শান্তনু সেনের গোষ্ঠীর সমর্থকদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই ছিলই। এবার এই দুই চিকিৎসক নেতার কোন্দল চলে এল একেবারে প্রকাশ্যে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে শান্তনুবাবুর অনুপস্থিতিকে ঢাল করে কাউন্সিল থেকে তাঁর অপসারণেরই আর্জি জানালেন ডাঃ সুদীপ্ত রায়। ১৮ নভেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে বেঙ্গল মেডিক্যাল অ্যাক্টের কথার উত্থাপন করেছেন সুদীপ্তবাবু। সেই আইনের ৯-এর (এ)(১) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, তিনটি বৈঠকে যথোপযুক্ত কারণ ছাড়া অনুপস্থিত থাকলে কাউন্সিলের সেই সদস্যের সদস্যপদ খারিজ হতে পারে। সেখানে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ১১টি বৈঠকে শান্তনুবাবু অনুপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর এই অস্বাভাবিক অনুপস্থিতির কারণও দর্শাননি তিনি। এই যুক্তিতে শান্তনু সেনের অপসারণ এবং সেই জায়গায় নতুন কোনও সদস্যের অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি ডাঃ রায়।
এদিকে শান্তনুবাবুও পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে। বুধবার রাতে ডাঃ সেন বলেন, ২০১২ সালের কাউন্সিল নির্বাচনে আমি সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হয়েছিলাম। ২০২২ সালে কাউন্সিলের সরকার মনোনীত সদস্য করে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে কাজের সুযোগ দিয়েছিলেন। তাঁর সিদ্ধান্তই আমার কাছে শেষকথা। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি সেটাই মাথা পেতে নেব। এদিকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তীকে সরানোর নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কাউন্সিল সভাপতিকে লেখা এক চিঠিতে রাজ্য জানিয়েছে, সরকারের অনুমোদন ছাড়াই ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে মানসবাবু রেজিস্ট্রার পদে পুনঃনিযুক্ত হয়েছেন। তাই মানসবাবুকে সরিয়ে ওই পদে নতুন কাউকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেছে রাজ্য। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং আনুষঙ্গিক একাধিক বিষয়ে তাঁদের মতামত জানানোর সুযোগ দিতে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সাক্ষাৎপ্রার্থী সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের তরফে মুখ্যসচিবকে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে।