• রাতে ফুটপাতে ডালা রেখে যেতে পারবেন না হকাররা, কড়া মেয়র
    বর্তমান | ২১ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দিনের বেলায় শহরের ফুটপাতে হকাররা বিক্রিবাটা করেন। রাতে বেচাকেনা বন্ধ হওয়ার পর ডালা বা স্টল সেখানেই রেখে চলে যান হকাররা। এর ফলে বিস্তর সমস্যা তৈরি হচ্ছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। সকালে পুরসভার কর্মীরা যখন সাফাই করতে নামছেন, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। কারণ, ডালা বা স্টল সরিয়ে সাফাই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে ফুটপাতের জায়গায় জায়গায় আবর্জনা জমা হতে থাকছে। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলতে থাকলে চারপাশ অপরিষ্কার হয়ে উঠছে। সমস্যা নিরসনে তাই এবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সাফ নির্দেশ, রাতে ব্যবসা হয়ে যাওয়ার পর ডালাগুলি অবশ্যই ফুটপাত থেকে তুলে নিতে হবে। অন্যথায় পুরসভা কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বাগরি মার্কেট অঞ্চল থেকে এ সংক্রান্ত নজরদারি ও অভিযান শুরু করতে চায় পুরসভা। মেয়র বলেন, ‘আমরা কাউকে ফুটপাতে ব্যবসা করতে বারণ করছি না। সবারই রুজিরুটির বিষয়টি রয়েছে। কিন্তু রাতে বেচাকেনা বন্ধ করার পর ডালাগুলি ফুটপাত থেকে সরিয়ে দিতে হবে। তাহলে সকালের দিকে আমাদের সাফাইকর্মীরা সহজে ও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। দিনের বেলা আবার ডালা পেতে ব্যবসা করবেন হকাররা।’ 

    সম্প্রতি ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বাগরি মার্কেট এলাকা থেকে একটি ফোন আসে। এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, তাঁর দোকানের সামনে আবর্জনা জমছে দিনের পর দিন। হকারদের ডালা ফুটপাত দখল করে থাকায় ঝাঁটও দেওয়া যায় না। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফিরহাদ জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগকে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেন। বাগরি মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাতে ব্যবসা বন্ধের পর ডালা তুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি। গোটা কারণ, গোটা বাগরি মার্কেট এলাকায় এমন স্টল বা ডালা রাতের বেলায়ও ফুটপাতে পড়ে থাকে। অপরিসর রাস্তায় হাঁটতে সমস্যা হয় পথচারীদের। তাছাড়া, অগ্নিকাণ্ডর  মতো ঘটনা ঘটলে রাস্তা বা ঘিঞ্জি এলাকায় কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন দমকলকর্মীরা। 

    প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের হকার সমস্যা নিয়ে মুখ খোলার পর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাতের বেলা হকাররা নিজেদের মালপত্র ফুটপাতে রাখা ডালা বা স্টলের মধ্যে মজুত রাখবেন না। সেগুলি রাখার জন্য উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতা মিলিয়ে বিভিন্ন হকার জোনে জায়গা দেখা শুরু করে পুরসভা। তবে সেই পরিকল্পনা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, যে হকার যেখানে ব্যবসা করছেন, তার আশেপাশে বিভিন্ন বাড়ির তলায় গ্যারেজ কিংবা সিঁড়ির নীচে মালপত্র রেখে দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। কারণ, অগ্নিকাণ্ড বা কোনও বিপদ ঘটলে বাসিন্দারা তড়িঘড়ি বাইরে বেরতে পারবেন না। দমকলেরও কাজ করতে সমস্যা হবে। তাই পুরসভা হকারদের মালপত্র ও  ডালা রাখার জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করতে চইেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)