বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ থেকে বার হয়েছিল ছয় বন্ধু। বিকেল নাগাদ মাইথনে পৌঁছয়। নিহত এক ছাত্রের পরিবারের দাবি, সে পড়াশোনার নোট নিতে যাচ্ছে বলে বাড়ি থেকে বার হয়েছিল। বুধবার বিকেলে মাইথনের তিন টাওয়ারে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় ছয় ছাত্রের মধ্যে তিন জন। স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই জায়গায় ২০ থেকে ৩০ ফুট গভীর জল ছিল। ছাত্রেরা স্থানীয় না হওয়ায় তা জানত না। সে কারণে স্নান করতে নেমেছিল। মনে করা হচ্ছে, তাতেই বিপত্তি ঘটেছে।
খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাইথন থানার পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল। পরিবার এবং স্থানীয়েরা পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকালের আগে উদ্ধারে নামেননি কেউ। বুধবার রাতে বার বার অনুরোধ করা হলেও কানে তোলেননি প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এই প্রসঙ্গে পুলিশ বা প্রশাসন কোনও মন্তব্য করেনি। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি এক জনের খোঁজ চালাচ্ছেন ডুবুরিরা।