মায়ের মৃত্যু, প্যারোলে মুক্তি পেলেন সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়
আজ তক | ২১ নভেম্বর ২০২৪
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্যারোলে মুক্তি পেলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। মায়ের মৃত্যুর কারণে বিশেষ আদালত বৃহস্পতিবার অর্পিতাকে পাঁচ দিনের জন্য প্যারোল দিয়েছে। সূত্রের খবর, বেলঘরিয়াতে থাকতেন অর্পিতার মা। তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়ায় থাকার জন্যই প্যারোল মঞ্জুর করা হয়েছে অর্পিতার।
২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতাকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। টালিগঞ্জের একটি নামকরা আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। এছাড়াও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকেও মোট ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদে উদ্ধার করে ইডি। টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা গুণতে ৫টি মেশিন আনতে হয়েছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপরিচিত, ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, তিনি পেশায় অভিনেত্রী। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে সে কথা লেখা ছিল একসময়। বেশ কয়েকটা সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন তিনি। তিনি নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের ব্র্যান্ড অ্য়াম্বাসাডর ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনে নিয়োগ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী, মানিক ভট্টাচার্য এবং অন্যান্যদের বেশ কয়েকটা জায়গায় এবং বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মমতা সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের পাশাপাশি পরিষদীয় বিষয়ক, ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। এর আগে তিনি শিক্ষা দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।
ইডির রাডারে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম কোম্পানি হল সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড। ২০১১ সালের ২১ মার্চ অর্পিতাকে এই কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়। আরেকটি কোম্পানির নাম সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড। অর্পিতা ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর এই কোম্পানিতে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হন।এই ফার্মটি ২০০১ সালে ১ কোটি টাকার শেয়ার মূলধন নিয়ে শুরু হয়েছিল। অর্পিতা ইচ্ছা এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। অর্পিতা ছাড়াও কল্যাণ ধরও এই সংস্থার একজন পরিচালক।