কী ভাবে অস্ত্রোপচারের সময়ে কাজ করবে রোবোটিক সিস্টেম? কী কী সুবিধা হবে তাতে? ‘দ্য স্প্রিং ক্লাব’-এর অনুষ্ঠানে গোটা প্রক্রিয়াটি বিশদে বুঝিয়ে বলেছেন বিশেষজ্ঞেরা। হাতেকলমে করেও দেখানো হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময়ে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে তা হবে আগের চেয়ে নির্ভুল। অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের সুস্থ হয়ে উঠতে আগের চেয়ে কম সময় লাগবে। সফল অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে কয়েক গুণ। এইচপি ঘোষ হাসপাতালের হাত ধরে পূর্ব ভারতে এই প্রথম মেরুদণ্ডের চিকিৎসায় এই ধরনের প্রযুক্তি এল।
অস্ত্রোপচারে রোবোটিক সিস্টেম সূচনার বিশেষ অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক সৌম্যজিৎ বসু, চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ রায় এবং চিকিৎসক তৃণাঞ্জন সারেঙ্গির মতো অস্থি বিশেষজ্ঞ এবং শল্যচিকিৎসা বিশেষজ্ঞেরা। ছিলেন এইচপি ঘোষ হাসপাতালের সিইও সোমনাথ ভট্টাচার্য। মেরুদণ্ডের চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা, অস্ত্রোপচার এবং তাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘এইচপি ঘোষ হাসপাতালে রোবটের সহায়তায় মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচারের সফল প্রয়োগ এটাই প্রমাণ করে, রোগীদের প্রতি আমরা কতটা যত্নশীল, তাঁদের সর্বোৎকৃষ্ট পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমরা কতটা বদ্ধপরিকর। এর মাধ্যমে আমরা মেরুদণ্ডের চিকিৎসাকে আলাদা উচ্চতায় তুলে আনলাম। সমগ্র পূর্ব ভারতে যা প্রথম। মেজ়র-এক্স রোবোটিক সিস্টেম অস্ত্রোপচারকে আরও নির্ভুল, নিখুঁত এবং নিরাপদ করে তুলবে। বিশেষত জটিল অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকরী হবে। আমাদের এলাকায় মেরুদণ্ডের চিকিৎসার নতুন যুগ সূচিত হল এখন থেকে। আমরা এর নেতৃত্বে থাকতে পেরে গর্বিত।’’
শুধু রোবট প্রযুক্তিই নয়, মেরুদণ্ডের চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচারে বিশেষ ভাবে জোর দেয় এইচপি ঘোষ হাসপাতাল। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় এখানে। ডিজিটাল এক্স-রে থেকে শুরু করে, অ্যাডভান্সড এমআরআই, ইলেক্ট্রোফিজিওলজি, ১২৮-স্লাইস সিটির পরিষেবা পেয়ে থাকেন রোগীরা। অস্ত্রোপচারের জন্য আধুনিক মাইক্রোস্কোপ, এন্ডোস্কোপ, নেভিগেশন, উচ্চ গতিসম্পন্ন ড্রিল ব্যবহার করা হয় এইচপি ঘোষ হাসপাতালে। মেরুদণ্ড সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার নিখুঁত এবং প্রায় ১০০ শতাংশ নিরাপদ সমাধান যে এখানে রয়েছে, সে বিষয়ে একমত হয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।