জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'মারছে মুসলমান, মরছে মুসলমান'। ফের বিস্ফোরক ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর মতে, 'রাজ্যের ইসলাম ধর্মে যাঁরা বিশ্বাসী, তাঁদের সামাজিক, অর্থনৈতিক দিলগুলো দেখতে হবে। তাই এই ঘটনা ঘটছে। তাঁদের শিক্ষা নেই, কাজ নেই। তাই তাঁরা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছেন'।
রাজ্যের পুলিসকর্তা থেকে এখন রাজনীতিবিদ। তখনও চাকরি মেয়াদ আরও মাস দুয়েক বাকি ছিল। একুশের বিধানসভা ভোটের মুখে ইস্তফা দেন চন্দননগরের তৎকালীন পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর। এরপর স্রেফ তৃণমূলে যোগ দেওয়াই নয়, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থেকে বিধায়কও নির্বাচিত হন তিনি। একসময়ের কারিগরি শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন প্রাক্তন এই পুলিসকর্মী। পরে অবশ্য মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন।
এর আগে, বিধানসভা প্রতীচী স্ট্রাস্টের রিপোর্ট পেশ করে তৃণমূলের এই বিধায়ক বলেছিলেন,'রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার টাকা দেওয়া যায় কি'? প্রস্তাব রেখেছিলেন, 'অন্তত ওবিসি মুসলিম মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক'। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিলেন অধিবেশনে।
জবাবে ভাষণের রাজ্য়ের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছিলেন, 'ধর্মীয়ভাবে এটা করা হয় না, প্রান্তিক মানুষের জন্য করা হয়। ধর্মের ভিত্তিতে ১ হাজার বা ৫০০ করা হয়নি। এটা এসএসসি, এসটি ও জেনারেল ক্যাটেগরি বিবেচনা করে হয়'।