জি ২৪ বাংলা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বাংলার আলু কেন বাইরে চলে যাচ্ছে'? মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় এবার নিচুতলার পুলিসকর্মীরা। বললেন, 'রাজনৈতিক নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। ৫ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। কিন্তু নিচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যাঁরা এই সরকারকে ভালোবাসে না। এবং পুলিসেরও কিছু লোক'।
ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্য জুড়ে এখন শীতের আমেজ। কিন্তু বাজারে আগুন! শাক-সবজির দাম আকাশছোঁয়া। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'জিনিসপত্রের দাম.. শীতকাল আসছে। অবিলম্বে টাস্ক ফোর্সের মিটিং করা হোক। আলু আর পেঁয়াজের দামটা কেন বাড়াচ্ছে? আমরা বলেছিলাম, আমাদের যা প্রয়োজন রাজ্যে, সেটাকে রেখে নতুন আলু যতক্ষণ না উঠছে, ততক্ষণ বাইরে আলুটা যাবে না। এখন তো দেখছি এরা এক্সপোর্ট করতে শুরু করে দিয়েছে। কোন পজিশনে আছে, আমাকে জানাতে হবে। নজরদারি করতে হবে'।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, 'সীমানা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। আবার নিয়ন্ত্রণ কর। তার আগে স্টক আমাকে দেখাবে। কত ছিল, কত বেরিয়েছে, এখন কত আছে'। বলেন, 'আমাদের স্টকটা তো রেখে দিতে বলেছিলাম জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের স্টকটা। শুধু বীজের জন্য় আলু যেটুকু লাগে, সেটুকু রেখে। কেন এটা হল? আমাকে কেন জানানো হল না? আমি বলেছিলাম এক লক্ষ করে করে আমি ছাড়ব। ছাড়তেও শুরু করেছিলাম। যতটা পেরেছে নিয়ে নিয়েছে'।
এদিনের বৈঠকে প্রথমে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। ডিজিকে বলেন, 'হয়তো তুমি চেষ্টা কর, কিন্তু স্থানীয় পুলিস সহযোগিতা করছে না। সবাইকে বলছি না আমি, একাংশ। রাজনৈতিক নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। ৫ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। রাজনৈতিক নেতারা টাকা খাওয়ার আগে দশবার ভাবে। জনগণের টাকা খাওয়া কি উচিত! তাঁদের নিজস্ব দায়বদ্ধতাও থাকে। কিন্তু নিচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যাঁরা এই সরকারকে ভালোবাসে না। এবং পুলিসেরও কিছু লোক, তাঁরা টাকা খেয়ে বালিচুরি বল, কয়লাচুরি বল, সিমেন্ট চুরি বল...'
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'সব আলু বেরিয়ে গিয়েছে। আজকে আলুর দাম বাড়ছে। পেঁয়াজ আমি কষ্ট করে তৈরি করতে শুরু করেছিলাম। বাংলার পেঁয়াজ তৈরি হত না বলে। সবটা নাসিক থেকে আনতে হয়। সেই পিঁয়াজ, আমার খাওয়ার পেঁয়াজ নেই। আমাকে নাসিক থেকে আনতে হয়'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি,' এবার সিআইডি রদবদল করব'।