ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল ২০১৭ সালে। মামলাকারী পাপুন ভট্টাচার্যের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের একাধিক গাড়ি রয়েছে। সেগুলি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার হয়। সেই সূত্রেই ২০১৭ সালে এক জনকে পাঁচটি গাড়ি দেন তাঁর মক্কেল। কিন্তু সেগুলি ফেরত পাচ্ছিলেন না তিনি। তা নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন পাপুন। অভিযোগ জানান বাগুইআটি থানায়। পুলিশি হস্তক্ষেপে তিনটি গাড়ি উদ্ধারও হয়। আইনজীবীর দাবি, পুলিশ সেই সময় জানায় গাড়িগুলি থানা চত্বরে রাখা আছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই গাড়িগুলি ফেরত পেতে ২০২১ সালে নিম্ন আদালতে আবেদন জানান মামলাকারী। নিম্ন আদালতও সেগুলি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
সমস্যা শুরু হয় এর পরে। নিম্ন আদালতের নির্দেশের পরও মামলাকারী গাড়িগুলি ফেরত পাননি। থানার তরফে আদালতে জানানো হয়, সেগুলি থানা চত্বরেই রাখা ছিল। কিন্তু সেখান থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে। চুরির মামলাও দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। বৃহস্পতিবার এই মামলায় বিচারপতি ঘোষ থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও পুলিশকর্মী যুক্ত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে কি না, তা আদালতে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। একই সঙ্গে ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বাগুইআটি থানার আইসি, ওসি এবং অন্য পুলিশকর্মীদের ভূমিকা ও আচরণের রিপোর্টও জনা দিতে বলা হয়েছে।