পর্ষদে তথ্যের ‘হার্ডকপি’ পাঠালে তবেই শংসাপত্র পাবে ৬০০ ডিএলএড কলেজ
বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থা এনসিটিই’র চাওয়া পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (পার) জমা দিতে নাজেহাল হচ্ছে ডিএলএড কলেজগুলি। এবার তাদের সামনে নয়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ‘পার’ জমা দেওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে একটি শংসাপত্র নিতে হবে প্রায় ৬০০ কলেজকে। তার জন্য কলেজগুলিকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে বিভিন্ন তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পর্ষদ। তবে, এতেই শেষ নয়। এবার ২৫ থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে জমা দেওয়া সমস্ত তথ্যের হার্ডকপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। এর সঙ্গে বিভিন্ন তথ্য যে সঠিক, তার ‘আন্ডারটেকিং’ দিতে হবে কলেজগুলিকে। এর ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছে কলেজগুলি। কারণ এর উপরই নির্ভর করছে কলেজের অনুমোদন এবং স্বীকৃতির পুনর্নবীকরণ।
অন্দরের খবর, বেশ কিছু বেসরকারি কলেজের তথ্য সঠিক নেই। অনেকগুলি কলেজ নিয়ম লঙ্ঘন করেই চলছে। এর ফলে, সেগুলির পক্ষে শংসাপত্র পাওয়া কঠিন হবে। তবে, যাদের সবকিছু ঠিক রয়েছে, তারাও নাজেহাল হচ্ছে। একটি বেসরকারি কলেজের কর্ণধারের কথায়, যারা নিয়ম ভাঙছে, তাদের উপর নজরদারি চলুক বা শাস্তি দেওয়া হোক। তবে, যারা নিয়ম মেনে চলছে, তাদের পক্ষে এত কাগজপত্র একাধিক সংস্থাকে জমা দেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বহু ক্ষেত্রেই ডিএলএড কলেজের পাশাপাশি বিএড কলেজও পরিচালনা করে থাকেন একই ব্যক্তি। তাঁদের বাবা সাহেব আম্বেদকর এডুকেশন ইউনিভার্সিটির কাছ থেকে শংসাপত্র নিতে হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, এনসিটিই’র কাছে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে। ফলে, হাতে সময়ও বিশেষ নেই। যদিও, পর্ষদ এক্ষেত্রে কঠোর। আধিকারিকদের দাবি, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই তথ্যাদি সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাই কষ্ট করে হলেও কলেজগুলিকে তা সরবরাহ করতে হবে।