• স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আয় বাড়াতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন দেবে জেলা পরিষদ
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: নামমাত্র খরচে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করা হবে স্কুলগুলিতে। বিভিন্ন ব্লকে থাকা সঙ্ঘের মাধ্যমে এই কাজ হবে। ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট সঙ্ঘগুলিকে দেবে হাওড়া জেলা পরিষদ। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর রোজগার বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।


    গ্রামীণ এলাকার বেশ কিছু স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই সরবরাহের অভাবে সেগুলি ফাঁকা থেকে যায়। এবার সে সমস্যা মেটাতে এবং বাইরে থেকে না কিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রোজগার বাড়াতে তাঁদের দিয়েই ন্যাপকিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে দু’টি সঙ্ঘকে ভেন্ডিং মেশিন, ইনসিনেরেটর এবং ন্যাপকিন তৈরির ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্ঘের অধীনে থাকা একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এর ফলে খুব কম খরচে ন্যাপকিন তৈরি করেছেন। আবার অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরা বিভিন্ন স্কুলে তা সাপ্লাই করছেন। তাতে গোষ্ঠীর আয় বেড়েছে। এই সাফল্যের পর এবার জেলার মোট ১৫৭টি সঙ্ঘকেই ন্যাপকিন তৈরিতে স্বনির্ভর করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা পরিষদ। এজন্য সঙ্ঘ পিছু খরচ পড়বে ৪০ হাজার টাকা। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ৭৪টি সঙ্ঘকে ভেন্ডিং মেশিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবহৃত ন্যাপকিন নষ্ট করার জন্য ইনসিনেরেটর না থাকায় সে যন্ত্রও এবার দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, ‘সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দ অর্থে ইনসিনেরেটর মেশিন কেনা হচ্ছে। বেশিরভাগ সঙ্ঘকেই ভেন্ডিং মেশিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমতা ও সাঁকরাইল ব্লকে কয়েকটি সঙ্ঘকে দেওয়া বাকি রয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)