অরূপ বসাক: এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত দক্ষিণ কলোনি এলাকায়। এদিন সকালে এলাকার বাসিন্দা সুপর্না দাস (৫০) এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির ছাদে যাবার সিঁড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় মৃত মহিলাকে ।
জানা গিয়েছে, বাড়ির ছোট ছেলের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে বলেই প্রাথমিক অনুমান স্থানীয়দের। প্রসঙ্গত স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মৃত সুপর্ণা দাস রাঁধুনির কাজ করতেন । ছোট ছেলের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের দাবি নিয়ে পারিবারিক কলহ ছিল নিত্য দিনের ঘটনা। আর এদিন সকালে সুপর্ণা দেবীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পারিবারিক কলহের কথাই স্থানীয়দের মাধ্যমে সামনে এসেছে।
এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর সমর কুমার দাস জানিয়েছেন, সুপর্ণা দেবীর ছোট ছেলে সাগ্নিকের বিভিন্ন ধরনের দাবি দাওয়ার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই হয়তো এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মালবাজার থানার পুলিস। মালবাজার থানার পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের সেপ্টম্বরে মালদার কালিয়াচকে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম, চুমকি মণ্ডল। কালিয়াচকের উমাকান্তটোলায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি। সেখান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। গৃহবধূর বাবারবাড়ির তরফে অভিযোগ, গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে।
কালিয়াচকের জালুয়াবাথাল গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা এলাকায় বাবারবাড়ি চুমকির। জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ছয় বছর আগে উমাকান্তটোলায় রতন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। গৃহবধূর বাবার বাড়ির অভিযোগ, রতন মদ্যপান করে চুমকিকে মারধর করতেন। গতকাল বিকেলে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা তাঁর বাবার বাড়িতে ফোন করে দেহ উদ্ধারের খবর জানান। মেডিকেলে পৌঁছে পরিবারের লোকজন দেখেন, চুমকির স্বামী মেডিক্যালে দেহ ফেলে পালিয়ে গিয়েছে।