• মুখ্যমন্ত্রীর কড়া ভাষায় আক্রমণ, বারাবনি থানার ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় নীচু তলার পুলিসকে আক্রমণ করেন। ঠিক তার একদিন পর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের বারাবনি থানার ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হল। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিস কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরীর তরফে এই পদক্ষেপ করা হল।

    জানা গিয়েছে, যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ জারি হচ্ছে ততদিন তিনি তার সমস্ত পুলিসের জিনিসপত্র পুলিস কমিশনারেটের স্টোর রুম আসানসোল পুলিস লাইনে যেন জমা দিয়ে দেন। পাশাপাশি তার বেতন বেসিকের অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। তবে অন্যান্য সমস্ত ভাতা তিনি পুরোপুরি পাবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।

    উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিচুতলার পুলিসদের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন। সরাসরি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগও তোলেন। তিনি বলেন, 'স্থানীয় পুলিস সহযোগিতা করছে না।  সবাইকে বলছি না আমি, একাংশ। রাজনৈতিক নেতাদের নামে সবাই বদনাম  করে বেশি। ৫ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয় চোর। রাজনৈতিক নেতারা টাকা খাওয়ার আগে দশবার ভাবে। জনগণের টাকা খাওয়া কি উচিত! তাঁদের নিজস্ব দায়বদ্ধতাও থাকে। কিন্তু নিচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী, যাঁরা এই সরকারকে ভালোবাসে না। এবং পুলিসেরও কিছু লোক, তাঁরা টাকা খেয়ে বালিচুরি বল, কয়লাচুরি বল, সিমেন্ট চুরি বল...'

    মমতা আরও বলেন, 'কয়লা চুরি করবে সিআইএসএফ এবং পুলিসের একাংশ, আর দোষ হবে তৃণমূলের? এ জিনিস আমি টলারেট করব না।' জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। সেখানেই উঠে আসে বারাবনি থানার এসআই-এর নাম। তড়িঘড়ি তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)