বৃহস্পতিবার নবান্নে পুলিশের নিচুতলার একাংশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও বটে। মমতা অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পুলিশের নিচুতলার একাংশ। তিনি বলেন, “সিআইএসএফের একাংশ বা পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরি করবে— এটা আমি হতে দেব না।” মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ এবং এই মন্তব্যের পরেই পুলিশ এবং প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বেশ কয়েক জন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়। যেমন শুরু হয়েছে বারাবনি থানার এসআই-এর বিরুদ্ধেও।
আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধরির স্বাক্ষর সম্বলিত একটি নথি আনন্দবাজার অনলাইনের হাতে এসেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে বারাবনি থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করার কথা বলা হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে, সাসপেনশনে থাকার সময় মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তবে অন্যান্য ভাতা তিনি পাবেন বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ওই এসআই-কে পুলিশের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আসানসোল পুলিশ লাইনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্য দিকে, সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বালি পাচার কয়লা পাচার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ খোলার পরেই সক্রিয় হয়েছে সিআইডিও। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই অভিযানে নেমেছে তারা। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্য গোয়েন্দা দফতর সিআইডির সর্ব স্তরে রদবদলের কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং ‘অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো’-কে আরও শক্তিশালী করারও নির্দেশ দেন তিনি।