সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শুরু হলেও প্রথম দিন সাধারণত শোকপ্রস্তাব পাঠ ছাড়া তেমন কিছু হয় না। ওই দিন বিকেলেই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকেছেন দলনেত্রী। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ শীর্ষ স্তরের নেতারা সোমবার কালীঘাটে উপস্থিত থাকবেন। তৃণমূলে বহু ‘প্রতীক্ষিত’ সাংগঠনিক রদবদল এখনও বাকি। ওই বৈঠকের পরেই সেই রদবদলে সিলমোহর পড়ে যেতে পারে দলের একাংশের মত। দলীয় সূত্রে খবর, সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অভিষেক ইতিমধ্যেই রদবদলের একটি তালিকা প্রস্তাব আকারে মমতার কাছে জমা দিয়েছেন। সোমবারের বৈঠকের পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা। বৈঠকেও তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
লোকসভা এবং বিধানসভা, উভয় ক্ষেত্রেই শীতকালীন অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রে থাকতে চলেছে ওয়াকফ বিল প্রসঙ্গ। যা নিয়ে উভয় ক্ষেত্রেই সভা উত্তাল হতে পারে। তৃতীয় মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল আনে সংসদে, যা লোকসভায় পেশ হওয়ার পরেই পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠান স্পিকার ওম বিড়লা। শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট সংসদে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু কমিটিতে থাকা বিরোধীদের দাবি, বিলের একাধিক বিষয় নিয়ে এখনও আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে ওই কমিটির আরও বৈঠক দরকার। ফলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হলেই যে ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়বে, তা অনুমেয়। আবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ওয়াকফ বিল আনার ভাবনাচিন্তা রয়েছে শাসক শিবিরের। বিরোধীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কী ভাবে আলোচনা চলবে, লোকসভায় ওয়াকফ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সাংসদ এবং বিধায়কদের সোমবারের বৈঠকে নির্দেশ দিতে পারেন মমতা। আলোচনার মাধ্যমে এই বৈঠকে স্থির করা হতে পারে রণকৌশল। এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে।