• আপাতত ‘যুদ্ধবিরতি’, কল্যাণ- মদন ভুল বোঝাবুঝির অবসান!
    ২৪ ঘন্টা | ২২ নভেম্বর ২০২৪
  • শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: কল্যাণ- মদন ভুল বোঝাবুঝির অবসান। সূত্রের খবর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন মদন মিত্রের। দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা দুই সিনিয়র তৃণমূল নেতার। ফোনে দু’জনের আড্ডা, তারপরেই নাকি মিটল দূরত্ব। আপাতত ‘যুদ্ধবিরতি’, একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ তাদের। ক্ষমতাসীন দল একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এ ঘটনা আগেও হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি নজর কেড়েছে মদন মিত্র বনাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতণ্ডা। 

    নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আরজি কর-কাণ্ড, দলের একাধিক গুরুত্বপূ্র্ণ দায়িত্ব বর্ষীয়ান নেতা এই শ্রীরামপুরের সাংসদের উপর। তবে তাঁরই দলের বিধায়ক আঙুল তুলেছিলেন কল্যাণের দিকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ইস্য়ুতে কামারহাটির বিধায়ক আক্রমণ করেছিলেন কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে। এবার পাল্টা মুখ খুলে, মদন মিত্রকে জবাব ফিরিয়ে দেন শ্রীরামপুরের সাংসদও।

    মদন মিত্র, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষের সুরে বলেন, 'তৃণমূল কী করবে না করবে, কে কল্যণ বন্দ্যোপাধ্যায়? খায় না মাথায় দেয়? উল্টো পাল্টা ভাট বকে, হাউ হাউ করে। জীবনে মামলা জিততে পারে না। সব কেস গিয়ে ঘেঁটে দেয়। কল্যাণ একবার আসানসোলে প্রার্থী হয়েছিল। এত খারাপ ব্যবহার করেছিল যে দ্বিতীয়বার আর সেখানে যায়নি। শ্রীরামপুর একটা জেতা সিট। ভোটে হারা কল্যাণকে জেতা সিটে প্রার্থী করা হয়েছিল। মমতার হাত ওঁর মাথায় না থাকলে কোর্টের মুহুরির কাজ করতে হত।'

    জমি ছাড়েননি কল্য়াণও। পাল্টা কামারহাটির বিধায়ককে বিঁধে বলেছিলেন, 'সারদা, নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত, জেল খাটা, ভোটে গোহারা নেতাদের সঙ্গে আমি মুখ লাগাতে চাই না।' সব মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মদন মিত্রের মধ্যে বাগযুদ্ধ চরমে পৌঁছয়। এদিন এই ফোনালাপে সমস্ত যুদ্ধের সাময়িক বিরতি হল বলেই মনে করছে ওয়্যাকিবহল মহল। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)