পুলিশের একটি সূত্রে খবর, ‘নির্যাতিতা’র বয়স ১৬ বছর। গর্ভধারণের সাত মাসের মাথায় মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। ‘নির্যাতিতা’কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার শারীরিক পরিস্থিতি দেখে অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে প্রসবের কিছু ক্ষণের মধ্যেই সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়। নাবালিকা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পর ‘নির্যাতিতা’র পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। ৬৩ বছর বয়সি অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে।
‘নির্যাতিতা’র পরিবারের দাবি, তাদের অজান্তে নাবালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এক প্রতিবেশী। বার বার মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে হুমকি দেন বৃদ্ধ। ওই নিয়ে কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে শাসান অভিযুক্ত। তাই ভয়ে কাউকে কিছু না বলতে পারেনি মেয়েটি। তবে সম্প্রতি সে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারে সবাই ঘটনার কথা জানতে পারেন। তাঁরা মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। তার পর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চাকদহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ‘নির্যাতিতা’র বাবা বলেন, ‘‘আমরা ভাবতেও পারিনি, নাতনির বয়সি একটি মেয়ের সঙ্গে এমন অপকর্ম করতে পারে ওই বৃদ্ধ। আমার মেয়ের সারল্যের সুযোগ নিয়ে তার উপর দিনের পর দিন অত্যাচার করা হয়েছে। আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে হাজির করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রানাঘাটের পুলিশ সুপার সানি রাজ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।