স্থানীয় সূত্রের খবর, বনগাঁর ওই স্কুলে টিফিনের সময় পড়ুয়ারা খেলছিল। কয়েক জন ছাত্র খেলার জন্য রাস্তার পাশে জমিয়ে রাখা পাথর কুড়োচ্ছিল। তখন দুই পড়ুয়ার চোখ যায় দু’দিকে ইলেকট্রিক তার দেওয়া ‘কালীপটকার মতো’ একটি জিনিসে। তারা হাতে নিয়ে এক বার দেখে আবার ওই জিনিসটি পাথরের উপর রেখেও দেয়। তখনই বিকট শব্দ করে ফেটে যায় জিনিসটি। বিস্ফোরণে শিবা রায় এবং সায়ন চক্রবর্তী নামে পঞ্চম শ্রেণির দুই পড়ুয়া আহত হয়।
বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়েরা অকুস্থলে হাজির হয়ে দেখেন দুই নাবালক যন্ত্রণায় ছটফট করছে। দৌড়ে আসেন স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা। তাঁরা দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আহত পড়ুয়াদের মধ্যে শিবা বলে, ‘‘খেলার জন্য পাথর কুড়োচ্ছিলাম। তখন কালীপটকার মতো দেখতে একটা জিনিস দেখতে পাই। আমি হাতে নিয়ে বলি, ‘এটা কী বলতো? দেখাতে হবে।’ তার পর ওটা রেখেও দিয়েছিলাম আবার পাথরে। কিন্তু সেটাই হঠাৎ ফেটে যায়। ওটা কী ছিল জানি না। তার পর আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, শিবা বেশি আহত হয়েছে। তার তিনটি আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ‘বিস্ফোরণস্থলে’ গিয়েছে পুলিশ। তবে কী থেকে এই বিস্ফোরণ হল, তা এখনও জানা যায়নি। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘তদন্ত চলছে।’
অন্য দিকে, স্কুলের সামনে এমন একটি ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আতঙ্কিত অভিভাবকেরা।