বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ বালিবাগান এলাকার বাসিন্দা মনোজিৎ দে গত ১৮ জুন রাতে গুড়ের আড়ত থেকে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর বাড়ির সামনে তিন জন দাঁড়িয়েছিল। তাদের কাছাকাছি বাইকটি যেতেই ওই ব্যবসায়ীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছুড়ে দেয় তারা। মনোজিৎ চোখে তীব্র জ্বালা অনুভব করেন। বাইকটিকে কোনও রকমে থামান। সেই সুযোগে তিন জন তাঁর গলা থেকে সোনার চেন এবং টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাইকে উঠে চম্পট দেয়। মনোজিৎ অবশ্য কাউকেই দেখতে পাননি। তাঁর চিৎকার-চেঁচামেচিতে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তাঁরা উদ্ধার করে নিয়ে যান ব্যবসায়ীকে। পরে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে থানায় অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ চার জনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারে। তাদের মধ্যে দু’জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মনোজিতের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল অভিযুক্তেরা। ঘটনার দিন তিনি আড়ত থেকে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে এক জন ফোন করে সঙ্গীদের সেই তথ্য দেয়। তখন বাকি অভিযুক্তেরা ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে ‘অপারেশন’-এর প্রস্তুতি নেয়। মনোজিৎ বাইক নিয়ে সেখানে পৌঁছতেই তাঁর দিকে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ধৃত দুই ছিনতাইকারীকে শুক্রবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে হাজির করায় পুলিশ। ওই অপরাধের ঘটনায় বাকিদের খোঁজ পেতে এবং ছিনতাই করা টাকা-গয়না উদ্ধারের জন্য ও ধৃতদের ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ধৃতদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।