• প্রয়াত ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-র স্রষ্টা কবি অরুণকুমার চক্রবর্তী
    এই সময় | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-র স্রষ্টা কবি অরুণকুমার চক্রবর্তী প্রয়াত। শুক্রবার রাত চুঁচুড়া ফার্ম সাইড রোডে বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ৮০ বছর বয়সে প্রয়াত কবি। শুক্রবার কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গল মহল উৎসবেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

    কবি অরুণকুমার চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফিরে খাওয়া-দাওয়াও করেছিলেন। একেবারেই ঠিক ছিলেন। হঠাৎই এমন ঘটনা। কবির পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, দুই ছেলে, বউমা ও নাতিরা। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন স্থানীয় বিধায়ক থেকে শহরের বইমেলা কমিটি ও বিশিষ্টজনরা।

    অরুণ চক্রবর্তীর বউমা সুদেষ্ণা চক্রবর্তী জানান, ‘গতকাল কলকাতার মোহরকুঞ্জে জঙ্গল মহল উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। একটু ঠান্ডা লেগেছিল। ফুসফুসে সমস্যা ছিল করোনার পর থেকেই। তবে অসুস্থ ছিলেন না একেবারেই।’ শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া সংস্কৃতিমহলে।

    শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে হিন্দুস্থান মোটরে চাকরি করতেন একটা সময়ে অরুণ চক্রবর্তী। লেখালিখি ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম প্যাশন। অসংখ্য মন ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা রয়েছে কবির ঝুলিতে। তবে ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’ তাঁকে সকলের কাছে আলাদা পরিচিত করেছে। যা পরে গানের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাষায় দেশ-বিদেশে পরিচিতি পায়।

    বাংলার লোক সংস্কৃতি নিয়েও চর্চা ছিল তাঁর। পাহাড় জঙ্গল আদিবাসী এলাকায় ঘুরতেন তিনি। মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে পছন্দ করতেন তিনি। তাঁর সাজেও ছিল অন্যরকম চমক। কাঁধে ঝোলা ব্যাগ আর মাথায় রঙিন রুমাল বাধা ছিল অরুণ চক্রবর্তীর ট্রেড মার্ক। আর সঙ্গে ঝুলিতে থাকত চকোলেট। ছোটদের দেখলেই চকোলেট দিতেন। সবাইকে আদর করে বুড়ো বলে ডাকতেন।

    শনিবার কবির দেহ বাড়ি থেকে চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনের মুক্ত মঞ্চে শায়িত থাকবে। সেখানে শ্রদ্ধা জানাবেন তাঁর গুণগ্রাহী ভক্তেরা। পরে শ্যামবাবুর ঘাটে হবে শেষকৃত্য।
  • Link to this news (এই সময়)