সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: খাবারে ভেজাল ধরতে এবার থেকে আস্ত ল্যাবরেটরি ভ্যান নিয়ে দোকানে দোকানে ঢুঁ মারবে খাদ্য সুরক্ষা বিভাগ। স্পটেই খাবারের নমুনা পরীক্ষা হবে। সঙ্গে সঙ্গে তার রিপোর্টও দোকানদারের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য সম্প্রতি রাজ্যের ১৪টি স্বাস্থ্যজেলায় এই অত্যাধুনিক মোবাইল টেস্টিং ভ্যান দেওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপুরেও এই ভ্যান এসেছে।
এই এসি ভ্যানে একটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি রয়েছে। তাতে খাবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার যাবতীয় যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার আছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গাড়িতে মাইকিং, অডিও-ভিস্যুয়াল ব্যবস্থাও রয়েছে। ফলে জনবহুল এলাকায় গিয়ে খাবারের ভেজাল-সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যাবে। কিছুদিনের মধ্যেই বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার নানা এলাকায় খাদ্যের মান যাচাইয়ে এই ভ্যানকে ঘুরতে দেখা যাবে।
ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অরবিন্দ হালদার বলেন, আগে আমাদের স্বাস্থ্যজেলায় মাত্র একজন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ছিলেন। এখন রাজ্য সরকার তিনজন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক নিয়োগ করেছে। তাঁরা কাজ করছেন। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠাতে হয়। তাতে রিপোর্ট পেতেও দেরি হয়। মোবাইল ভ্যান পাওয়ায় সুবিধা হবে। ওই ভ্যানে অত্যাধুনিক ল্যাব রয়েছে। ভ্যানটি সপ্তাহে চারদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটবে। তবে তালডাংরার উপনির্বাচনের কারণে আচরণবিধি লাগু থাকায় ভ্যানচালক ও ফুড অ্যানালিস্ট নিয়োগ আটকে রয়েছে। আচরণবিধি উঠে গেলেই তাড়াতাড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, পুর এলাকায় আগে থেকেই মোবাইল টেস্টিং ভ্যান রয়েছে। এবার বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, নন্দীগ্রাম, রামপুরহাট সহ ১৪টি স্বাস্থ্যজেলাকে এই ভ্যান দেওয়া হয়েছে। ওই ভ্যান নিয়ে কোথাও গিয়ে বিদ্যুতের সমস্যায় যাতে অসুবিধা না হয়, সেজন্য ভ্যানে জেনারেটর অবধি রয়েছে। তাই প্রত্যন্ত এলাকাতেও এই ভ্যান যেতে পারবে। খাবারে ভেজাল ধরা পড়লে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কিছুদিন আগেই বিষ্ণুপুরে মাংসে ভেজাল পাওয়া গিয়েছিল। গুঁড়ো মশলাতেও ভেজাল মিলেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতদিন কর্মীসঙ্কট ও কাছেই পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা হচ্ছিল। এবার থেকে তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।