• ভাড়া না মেটানোয় তালা এক্সচেঞ্জ অফিসে, বিএসএনএলের পরিষেবাই মেলে না, দাঁতনে গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় তলানিতে
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বেলদা: দীর্ঘ প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বন্ধ থাকায় দাঁতনে গ্রাহক সংখ্যা তলানিতে ঠেকল বিএসএনএল‌এর। সমস্যার মুখে পড়ে অধিকাংশ গ্রাহকই ছাড়লেন বিএসএনএলের ল্যান্ডলাইন ও সিম। দপ্তরের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ আনলেন গ্রাহকরা। গত ২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল দাঁতন টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। বিপুল পরিমাণ ভাড়া বকেয়া থাকায় আদালতের নির্দেশে অফিসে তালা লাগিয়ে দেন ঘর মালিক। তারপর থেকে দীর্ঘ দু’বছরের বেশি সময় ধরে দাঁতনের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে পরিষেবা। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গ্রাহকদের। 


    জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় ৫ দশকের বেশি সময় ধরে দাঁতনের নতুন বাজার এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিল অন্যতম প্রাচীন এই টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি। গত ২০২২ সালের ৫ আগস্ট সেই টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অফিস ঘরে তালা লাগিয়ে দেন বাড়ির মালিক। মালিকদের মধ্যে অন্যতম অম্লান মাইতি বলেন, ২০০৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া রেখেছে বিএসএনএল দপ্তর। বারবার অনুরোধ জানিয়েও সুফল মেলেনি। শেষমেশ ২০১৪ সালে মেদিনীপুর আদালতে মামলা দায়ের করি। ২০১৯ সালে সম্পূর্ণ ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার রায় হয়। কিন্তু তারপরেও ভাড়া না পাওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করি। অবশেষে আদালতের রায়ে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট গেটে তালা লাগিয়ে দিই। আমার সঙ্গে বিএসএনএল দপ্তর যোগাযোগ করলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও সমাধান সূত্র বেরয়নি। দাঁতন ১ ব্লকের বিডিওর মোবাইল নম্বর বিএস‌এনএলের। দীর্ঘ দু’বছর ধরে সেই মোবাইল নম্বরটি অকেজো হয়ে গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হচ্ছে। বিডিও বলেন, অফিশিয়াল মোবাইল নম্বরটি বিএসএনএলের।দাঁতন এলাকায় থাকলে নেটওয়ার্ক থাকে না হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে হয়। ল্যান্ডলাইন ও ইন্টারনেট কানেকশন প্রাইভেট প্রোভাইডার থেকে নিতে হয়েছে। এক গ্রাহক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিএসএনএল ব্যবহার করে আসছি। ট্যারিফ ভীষণ কম। কিন্তু যেভাবে দপ্তরের পক্ষ থেকে এক্সচেঞ্জ চালু করার বিষয়ে গাফিলতি করা হচ্ছে, তাতে আগামী দিনে প্রোভাইডার পাল্টাতে বাধ্য হব।


    বিএসএনএলের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। খড়্গপুরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। যাতে দ্রুত ওই এক্সচেঞ্জটি খোলা যায়, তার জন্য সমস্ত রকম প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। বিকল্প জায়গার খোঁজ চলছে। বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভেবে রাখা হয়েছে। আশা রাখছি, আদালত থেকে দ্রুত সমাধান সূত্র পাব।


    (দাঁতনে বন্ধ রয়েছে বিএসএনএল অফিস।-নিজস্ব চিত্র)
  • Link to this news (বর্তমান)