বিষ্ণুপুরে ৫ কোটি টাকার পর্যটন প্রকল্পের অনুমোদন, এলাকা পরিদর্শন বিধায়ক ও মহকুমা শাসকের
বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুরে প্রায় ৫ কোটি টাকার পর্যটনকেন্দ্রিক একাধিক প্রকল্পের অনুমোদন আসতেই শুক্রবার বিধায়ক এবং মহকুমা শাসক এলাকা পরিদর্শন করেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের পর্যটন দপ্তর লালবাঁধ, লালগড়, পোড়ামাটির হাটের সৌন্দর্যায়ন সহ মোট ১০টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। তার মধ্যে প্রকৃতি উদ্যানে দু’টি কটেজ সহ ওয়াচ টাওয়ার, ডে কেয়ার সংস্কার, বায়োডাইভারসিটি পার্ক, লাইট হাউস মোড়ে প্রবেশ তোরণ, গুমগড়ের কাছে খানার সৌন্দর্যায়ন ও বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ডে কেয়ার সেন্টারের ডেকোরেশন, লালগড়ে ফ্লাড লাইট প্রভৃতি প্রকল্পে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এদিন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।
তন্ময় ঘোষ বলেন, কিছুদিন আগে পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বিষ্ণুপুরে এলে তাঁকে বিষ্ণুপুরের উন্নয়নের জন্য মোট ১৮টি প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীকেও বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি বিষ্ণুপুরের উন্নয়নে কোনও কার্পণ্য করেননি। প্রথম পর্যায়েই ৫ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছেন। এর জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। বাকি প্রকল্পগুলিরও ধাপে ধাপে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।
বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, বিষ্ণুপুরে পর্যটন কেন্দ্রিক বেশ কিছু প্রকল্পে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। তার ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। এদিন ডে কেয়ার সেন্টার, লালগড় প্রকৃতি উদ্যান, ওয়াচ টাওয়ার সহ পর্যটনকেন্দ্রিক বেশ কিছু প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলি হলে বিষ্ণুপুরের পর্যটন আরও সমৃদ্ধ হবে।
প্রথম পর্যায়ে যে ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন মিলেছে, তার মধ্যে লালগড়ের একটি ওয়াচ টাওয়ার সংস্কারের কাজ আছে। দীর্ঘদিন ধরে সেটি বেহাল হয়েছিল। এছাড়াও পর্যটকদের অন্যতম ডেস্টিনেশন লালগড় প্রকৃতি উদ্যানে কটেজ তৈরির প্রস্তাবও ছিল। লালগড়ে পর্যটন দপ্তরের একটি ডে কেয়ার সেন্টার রয়েছে। সেটি অন্তত ২০ বছর আগে তৈরি হলেও আজও তা চালু হয়নি। বিল্ডিংটির মাঝে একবার সংস্কার হয়েছে। তবে ভেতরের ডেকোরেশনের কাজ বাকি রয়েছে। সেজন্য তা চালু করা সম্ভব হয়নি। পর্যটন মন্ত্রী স্বয়ং সেটি দেখে গিয়েছেন। এবারের অনুমোদনের তালিকায় সেটিও রয়েছে। এছাড়াও গুমগড়ের কাছে যে খানা জলাশয় রয়েছে, সেটি সংস্কার করে বোটিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। লালবাঁধেও পাড় সংস্কার করে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। সেই সঙ্গে পোড়ামাটির হাটে বাকি থাকা অংশে বেড়া দেওয়া এবং শৌচালয় তৈরি করা হবে। সব মিলিয়ে ৫ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার প্রকল্পে অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে।