• সল্টলেকে ‘বাংলার নবজাগরণ’ ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে নয়া প্রজন্মের
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অফিস থেকে ফেরার পথে বাড়ি না গিয়ে, করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কের মাঠে সটান চলে এসেছিলেন বাগমারির রেখা বিশ্বাস। বন্ধুদের থেকে জেনেছেন, সেখানে নাকি জমজমাট মেলা শুরু হয়েছে। ভেবেছিলেন, মিনিট পনেরো সময় কাটাবেন। ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিস কিনে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু এসে একেবারে থমকে গেলেন তিনি। শহরের আনাচকানাচে শীতকালজুড়ে যে মেলাগুলি বসে, তার চেয়ে এর যোজন খানেক ফারাক। একসঙ্গে একই পণ্যের শ’য়ে শ’য়ে স্টল নেই ঠিকই। কিন্তু যেটুকু আছে, তা শুধু অভিনবই নয়, বাঙালিয়ানায় ভরপুর। মেলাপ্রাঙ্গণ জুড়ে বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের মিলমিশ। যেসব বাঙালি এই শহর থেকেই নিজেদের ব্যবসাকে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন, তাঁদের উদ্যোগ বা প্রতিষ্ঠানগুলির উজ্জ্বল উপস্থিতি মন ভালো করে দেবে যে কোনও বাঙালির। নতুন প্রজন্মের ভিড়ও উপচে পড়ছে। 


    মাস কয়েক পরেই যেখানে বসবে বাঙালির প্রাণের বইমেলা, সেখানেই একটু আগেভাগে আরও এক উৎসবের আমেজ। ঠিক বোধনের মতো। সম্পূর্ণ আয়োজনের নাম ‘বাংলার নবজাগরণ’। উদ্যোগে বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল। 


    কী কী থাকছে মেলায়? শাড়ি থেকে শুরু করে অন্যান্য পোশাক ও ফ্যাশনদুরস্ত গয়নাগাটি থেকে শুরু করে সোনার গয়না পর্যন্ত কিনতে পারবেন ক্রেতারা। আছে শহরের নামজাদা মিষ্টান্ন বিক্রেতাদের হরেক মিষ্টির আয়োজনের পাশাপাশি নামী রেস্তরাঁর খাবার। যাঁরা ঘর সাজাতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য রকমারি জিনিসের সম্ভার রয়েছে এখানে। চাইলে মিলতে পারে খোদ কাশ্মীরীদের আখরোট থেকে পশমিনা শালও। থাকছে রান্নার প্রতিযোগিতা, যেখানে থাকছে তাকলাগানো রান্নাবান্না। গাড়ি থেকে শুরু করে চাকরির বাজার। আয়োজন রয়েছে সবকিছুরই। বাঙালির ব্যবসা-চর্চা থেকে শুরু করে নানা আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন দিকপাল মানুষজন। তবে সবচেয়ে সেরা আকর্ষণ অবশ্যই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলার শুরুর দিন চন্দ্রবিন্দুর গান যেমন সবাইকে মুগ্ধ করেছিল, শুক্রবারের সন্ধ্যায় তাতেই অন্যরকম রং দিল ফসিলস। শুধু রূপম ইসলামকে এক ঝলক দেখার জন্য বিকেল থেকেই মেলার মাঠে আছড়ে পড়ল ভিড়। মেলা চলবে আগামী কাল রবিবার পর্যন্ত। 
  • Link to this news (বর্তমান)