‘রাত দখল’ করার পরেও বামেদের জামানত থাকবে তো? আক্রমণে তৃণমূল
বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জনতার ভোটে তৃণমূল এক নম্বর স্থানে রয়েছে, আগামী দিনেও থাকবে। রাজ্যের ছয় আসনের উপ নির্বাচনের ফল নিয়ে এতটাই প্রত্যয়ী তৃণমূল। সেই সঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে শাসক দলের খোঁচা, ‘বিজেপি ২ না ৩ নম্বর স্থানে থাকবে, সেটা ওরা দেখুক। আর লাল পার্টি আগে জামানত বাঁচাক।’
আজ, শনিবার উপ নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। তৃণমূল আশাবাদী, এই ছ’টি আসনেই জোড়াফুল ফুটবে। সিতাই, মেদিনীপুর, তালডাংরা, নৈহাটি ও হাড়োয়া আসনে ২০২১ সালেও জয় পেয়েছিল তৃণমূল। এই পাঁচটি আসন এবারও শাসক দলের হাতেই থাকবে বলে প্রত্যয়ী তৃণমূল নেতৃত্ব। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মাদারিহাট। ২০২১ সালে মাদারিহাট কেন্দ্রটি বিজেপি জিতেছিল ২৯ হাজার ৬৮৫ ভোটে। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভার ফলাফলের নিরিখে বিজেপির এগিয়ে ছিল মাত্র ১১ হাজার ৬৩ ভোটে। এই সূত্রেই তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, চা বাগান অধ্যুষিত মাদারিহাট বিধানসভায় মোদি সরকারের বঞ্চনার জবাব ভোটবাক্সেই পাবে বিজেপি।
বামেরা কত ভোট পায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কৌতূহল রয়েছে। তারা বলছে, আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে ‘রাত দখল’, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ দেখা গিয়েছে সিপিএম কর্মীদের। তাদের সঙ্গেই একযোগে আন্দোলনে দেখা গিয়েছিল নকশালপন্থীদের। কিন্তু এতসবের পরেও ভোট মিলছে কি, সেটাই বড় প্রশ্ন। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাত জেগে সিপিএমের কী লাভ হল, তার উত্তর মিলবে শনিবার। সিপিএম জমানত রক্ষা করতে পারবে কি না, সেটা আগে দেখুক।’
নৈহাটি বিধানসভার উপ নির্বাচনে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে সিপিএম। তথ্য বলছে, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে নৈহাটিতে সিপিএম পেয়েছিল ১৫ হাজার ৮২৫ ভোট। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে নৈহাটি বিধানসভায় সিপিএমের ভোট কমে দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৯২৫। এবার সিপিএমের সমর্থনে লিবারেশনের প্রার্থী জামানত রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখার। বাদবাকি কেন্দ্রগুলিতেও বামেদের ভোট ক্রমশ কমেছে। সেই রক্তক্ষরণ কি অব্যাহত থাকবে, উত্তর মিলবে আজ।