• সুশান্তর উপর হামলা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব খারিজ
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত ঘোষের উপর দুষ্কৃতী হামলার আঁচ এবার এসে পড়ল কলকাতা পুরসভার অলিন্দে। শুক্রবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনে বিজেপি পুর-পরিষদীয় দলের তরফে সতীর্থ কাউন্সিলারের উপর হামলা, জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। পরে বিজেপি কাউন্সিলার সজল ঘোষ অন্য একটি প্রস্তাবের উপর বলতে উঠে সুশান্ত ঘোষের উপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন। তখন ‘গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ’ করার অভিযাগ তুলে অধিবেশন থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপির দুই কাউন্সিলার। 


    এদিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার ডাঃ মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পুরসভার পার্কগুলির নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব রাখেন। সেই প্রস্তাবের উপর আলোচনা করতে গিয়েই সজলবাবু হামলার কথা উল্লেখ করেন। মীনাক্ষীদেবী বলেন, ‘বিভিন্ন পার্কে নিরাপত্তা কর্মী থাকলেও অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেখানে নানা অসাধু কাজকর্ম চলছে। মদ, গাঁজার আসর বসছে।’ সজল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে বলার অনুমতি চাইলে চেয়ারপার্সন তাঁকে সুযোগ দেন। শুরুতেই সজল বলেন, ‘পার্কের নিরাপত্তার জন্য গেট বন্ধ রাখবেন, কিন্তু সমাজবিরোধীরা তো রাস্তায় ঘুরছে। কলকাতার বুকে কাউন্সিলারকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি ছুড়ছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। মেয়র নিজে পুলিসকে দায়ী করছেন। উনিও অসহায়। কোথায় নিরাপত্তা?’ এই কথা শুনেই একাধিক কাউন্সিলার চিৎকার করে তাঁর বিরোধিতা শুরু করেন। মালা রায় বলেন, ‘যে বিষয় নিয়ে বলতে উঠেছেন, তা নিয়ে বলুন। নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরে বলবেন না।’ কিন্তু সেই নির্দেষ তোয়াক্কা না করেই সজল তাঁর কথা বলে চলেন। তখন তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। মালা রায় জানিয়ে দেন, বিজেপি কাউন্সিলারের বক্তব্য কার্যবিবরণী থেকে বাদ যাবে। এর প্রতিবাদে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন মীনাদেবী পুরোহিত ও সজল ঘোষ।  


    সজলবাবু বলেন, ‘মেয়র হা-হুতাশ করছেন। সতীর্থ কাউন্সিলারকে হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে। আর সেই কথা বলতে গিয়ে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। লজ্জাজনক। অধিবেশনে দাঁড়িয়ে যাতে আমাদের কোনও কাউন্সিলারের স্মৃতিচারণ করতে না হয়, সেটাই দেখা দরকার। সুশান্ত ২১ জুলাই গুলি খাওয়া ছেলে। একসঙ্গে ছাত্র রাজনীতি করেছি। সেই কথা অধিবেশনে বলতে দিচ্ছে না তাঁর দলই।’ এ প্রসঙ্গে সুশান্ত অবশ্য মুখ খোলেননি। মালাদেবী জানান, নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরে আলোচনা হচ্ছিল। আগে থেকে কোনও প্রস্তাব তিনি দেননি। পুর আইন মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজনীতি করার চেষ্টা করছিল। পুর অধিবেশনে নিয়ম মেনে প্রস্তাব দিতে হয়। মুখে দাবি করলে হয় না।’
  • Link to this news (বর্তমান)