ধারে কাছে ঘেঁষতে পারেনি বিজেপি, ১ লাখেরও বেশি ভোটে সিতাইয়ে জয় তৃণমূলের
এই সময় | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
৬-এ ৬-ই তৃণমূলের ঘরে! সিতাইয়ে ইতিমধ্যেই জয়ী তৃণমূল। বাকি কেন্দ্রগুলিতেও যত বেলা গড়াচ্ছে ততই চওড়া হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের কর্মী-সমর্থকদের মুখের হাসি। ব্যবধানের নিরিখে এখনও পর্যন্ত ৬ কেন্দ্রের মধ্যে ‘ফার্স্ট গার্ল’ সিতাইয়ের তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা রায়। লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিককে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন তৃণমূলের জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। সেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধীদের গুনে গুনে গোল দিলেন জগদীশ জায়া সঙ্গীতা।
জয়ী হয়েছেন তিনি। সমস্ত রাউন্ডের গণনার পর তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৩২ এবং দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী দীপক কুমার রায়ের প্রাপ্ত ভোট ৩৫ হাজার ২৭৬। অর্থাৎ নিকটতম বিজেপি প্রার্থীর থেকে তিনি ১ লক্ষ ৩০ হাজার ১৫৬ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। এই ব্যবধান অন্য ৫ কেন্দ্রের মধ্যে সবথেকে বেশি এখনও পর্যন্ত। যদিও দ্বাদশ রাউন্ডের গণনা শেষে হাড়োয়ায় তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলাম এগিয়ে ১ লক্ষ ১২ হাজার ভোটে। ব্যবধানের নিরিখে ‘সেরা’-র শিরোপা পাবেন কে? তা নিয়ে এখন লড়াই সঙ্গীতা এবং রবিউলের মধ্যে।
সিতাই কেন্দ্রে জগদীশের স্ত্রী সঙ্গীতা রায়কে প্রার্থী করেছিল রাজ্যের শাসক দল। এই বিধানসভা কেন্দ্র বরাবর তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও সিতাইয়ে জয়ী হয়েছিল রাজ্যের শাসক দলই।
গণনার দিনে সকাল থেকেই আত্মবিশ্বাসী শোনা যায় সঙ্গীতাকে। তিনি বলেন, ‘জিতব সেই আত্মবিশ্বাস ছিল।’ সঙ্গীতা রায় সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ ছেড়ে ভোটে লড়েছিলেন। প্রচারে প্রথম থেকেই দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন তিনি। জয়ের পরে চোখে জল তৃণমূল প্রার্থীর। সঙ্গীতা বলেন, মা-বোনেদের প্রনাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম জানাচ্ছি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। সিতাইয়ের জন্য অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। ধীরে ধীরে সেগুলির বাস্তবায়ণ করব।'