উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি, দিলীপ বললেন, ‘আমি এখন এই সবের মধ্যে নেই…’
এই সময় | ২৩ নভেম্বর ২০২৪
একুশের বিধানসভা ভোটে জেতা মাদারিহাটও হাতছাড়া, রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে কার্যত ভরাডুবি বিজেপির। গেরুয়া শিবিরে থমথমে পরিবেশ। এই ফলাফলের দিকে সকাল থেকেই তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিলেন বিজেপি নেতা সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বঙ্গে এই ফলাফলকে কী ভাবে দেখছেন তিনি?
মেদিনীপুর কেন্দ্র মানেই ‘আশা-ভরসা’ দিলীপ ঘোষ। উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করার জোরাল দাবি উঠেছিল গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুব নেতা শুভজিৎ রায়কে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু ১৪ রাউন্ডের পর তিনি তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরার থেকে প্রায় ৩১ হাজার ভোটে পিছিয়ে। ‘মিরাকল’ কিছু না ঘটলে এই আসনেও জয়ী হবে তৃণমূলই। মেদিনীপুরে বিজেপির এই ফলাফল নিয়ে দিলীপ ঘোষ ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘বিধানসভায় আমরা মেদিনীপুর কোনওদিন জিতিনি। ২০১৯ সালে লোকসভায় যখন আমি প্রার্থী ছিলাম মেদিনীপুর বিধানসভায় লিড ছিল। ২০২৪ সালে অবশ্য সেই লিড ছিল না। ফলে এই আসনে জেতার আশা কম ছিল।’
দিলীপ ঘোষের সংযোজন, ‘একটাই জেতা আসন ছিল মাদারিহাট। সেখানে লড়াইটা হবে আশা করেছিলাম। সেখানেও অনেক ভোটে হেরেছি। উপনির্বাচনে মোটামুটি এই রকম ফলই থাকে। এর থেকে বেশি আশাও ছিল না।’
উপনির্বাচনের এই ফলাফলের প্রেক্ষিতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও দলকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘লোকসভার ফলাফল নিয়েও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে কি না তা জানা নেই। আমি আর এখন এই সবের মধ্যে নেই। তবে মনে হয় লোকসভা ভোটের ফলাফলের প্রতিফলন পরবর্তীকালেও হচ্ছে। দলকে ভাবতে হবে। ২৬-এর আগে এই সমস্ত দুর্বলতা দূর করতে দলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে পার্টি ভালো করে লড়াই করতে পারে।’
তাৎপর্যপূর্ণভাবে লোকসভা নির্বাচনে দিলীপ ঘোষকে তাঁর জেতা আসন মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী করা মেনে নিতে পারেনি দলেরই একাংশ। ‘আনকোরা’ ময়দানে ভোট যুদ্ধে নেমে ধরাশায়ী হয়েছিলেন তিনি। সেই প্রেক্ষাপটে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।