বস্তির দুই বাসিন্দা জোনাকি মণ্ডল এবং সবিতা দাস বলেন, ‘‘হঠাৎই দেখি, টালির ছাউনি দেওয়া একটি ঘর দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে। সিলিন্ডার ফাটার আওয়াজও পাচ্ছিলাম। পাড়ার ছেলেরা আগুন নেভাতে বালতি বালতি জল ঢালছিল। কিন্তু কোনও ভাবেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিল না। পড়িমড়ি করে সবাই বেরিয়ে আসতে পারায় আরও বড় অঘটন এড়ানো গিয়েছে।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দিলে সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। কিন্তু, ততক্ষণে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে টালির চালের কয়েকটি ঘর। স্নেহা সিংহ নামে বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমার ঘরের ঠিক পাশে টালির চালের ঘরে আগুন লেগেছিল। আমার ঘর পুরো পুড়ে গিয়েছে। টাকাপয়সা, জিনিসপত্র— কিছুই বাঁচাতে পারিনি। বাড়ির লোকদের নিয়ে স্থানীয় ক্লাবে আশ্রয় নিয়েছি।’’
আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল। তবে স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, যে ঘরে প্রথম আগুন লেগেছিল বলে তাঁরা মনে করছেন, সেই ঘরটি তালাবন্ধ ছিল। বাসিন্দাদের ধারণা, কোনও ভাবে মোমবাতি বা প্রদীপ থেকে এই আগুন লেগে থাকতে পারে।