রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি। ৬-০-তে গেরুয়া শিবিরকে হারাল ঘাসফুল প্রার্থীরা। গত বিধানসভা ভোটে এই ৬ আসনের মধ্যে ৫টি আসনই তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। মাদারিহাট আসনটি ছিল বিজেপির দখলে। সেই আসনও ধরে রাখতে পারল না নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর দল। এবারের ভোটে তৃণমূল শুধু জিতেছে তা নয়, বিপুল ব্যাবধানে পরাজিত করেছে বিজেপি প্রার্থীদের। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কংগ্রেস ও বামেদের ছন্নছাড়া অবস্থাও ফের একবার সামনে চলে এল এবারের ভোটে। একমাত্র হাড়োয়া আসনে দ্বিতীয় হয়েছেন বাম সমর্থিত ইন্ডিয়ান সেক্যুরাল ফ্রন্টের প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম। বাকি ৫ আসনে জামানত খুইয়েছেন বাম প্রার্থীরা। কংগ্রেস প্রার্থীদেরও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৬ আসনেই।
হাড়োয়াতে জয়ী শেখ রবিউল ইসলাম
তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট - ১৫৭০৭২
ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট - ২৫৬৮৪
বাকি দুই আসন মেদিনীপুর ও তালড্যাংরাতে শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা অনেক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। দুই জায়গাতেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সেই ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও মাদারিহাট আসনটি অধরা ছিল তৃণমূলের। তারা এই প্রথমবার আসনটি দখল করল। ২০১৬ ও ২০২১ সালের ভোটে ওই আসন থেকে জিতেছিলেন বিজেপির মনোজ টিগ্গা। এই প্রথম সেই আসন থেকে জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালের আগে সেই আসন ছিল বামেদের দখলে।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাদারিহাটের মানুষকে আলাদাভাবে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, উপনির্বাচনে যেমন ফলাফল হয় তেমনই হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী বিধানসভা ভোটে রাজ্যে জিতবে বিজেপি।