রেল পুলিশ সূত্রের খবর, সৌমিত্র (৬৩) কাটিহারে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁর নিয়মিত যাতায়াত ছিল। কাটিহারে তবলা শেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতেন তিনি। তাই কাটিহার থেকে ঘটনার কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না, তা-ও দেখছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনার তদন্তে হাওড়া রেল পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। সৌমিত্রর পরিবারের লোকজন মনে করছেন, তাঁর কাছ থেকে দামি মোবাইল, নগদ দশ হাজার টাকা এবং ব্যাগ লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। লুটে বাধা দেওয়াতেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে বিহারের কোনও সংগঠিত দল আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও রকম ব্যক্তিগত শত্রুতার যোগসূত্র আছে কি না, সেই দিকটিও দেখছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে সৌমিত্রের শরীরে ক্ষতচিহ্ন দেখে পুলিশেরও অনুমান, চুরি বা ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় খুন করা হয়েছে তাঁকে। তবে, বাধা দেওয়ার কোনও প্রমাণ পুলিশ পেয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার রাতে ওই ট্রেনে রেল রক্ষী বা রেল পুলিশ ছিল না। যে কামরা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেখানে চারটি আসন রয়েছে। পুলিশের অনুমান, সৌমিত্র ছাড়া সেখানে বেশি কেউ ছিলেন না। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে ট্রেনে থাকা গার্ডদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যেহেতু কামরাটি কাটিহার এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের ঠিক পরেই ছিল, তাই চালক ও সহ-চালক কিছু দেখেছেন কিনা, তা জানতে চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিকেলে ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তারা। যাত্রী-নিরাপত্তার দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি মৃতের পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।