উপনির্বাচনের ফল নিয়ে সমাজমাধ্যমের পোস্টে মমতা লিখেছেন, ‘‘আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে মা-মাটি-মানুষকে জানাই প্রণাম। আপনাদের এই আশীর্বাদ আমাদের আগামীর চলার পথে আরও সক্রিয় ভাবে কাজ করার উৎসাহ দেবে। মানুষই আমাদের ভরসা। আমরা সবাই সাধারণ মানুষ। এটাই আমাদের পরিচয়।’’ এর পরেই ‘জমিদার প্রসঙ্গ’ উঠে এসেছে মমতার বক্তব্যে। তৃণমূল এর আগে অনেক বার বিজেপিকে ‘জমিদার’ বলে কটাক্ষ করেছে। ছয়ে ছয় পরিষ্কার হওয়ার পর মমতা বলেছেন, ‘‘আমরা জমিদার নই। মানুষের পাহারাদার। মানুষের আশিস আজীবন আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে থাকবে।’’
‘জমিদার’ কটাক্ষ ঝরে পড়েছে অভিষেকের পোস্টেও। তিনি লিখেছেন, ‘‘উপনির্বাচনের ছ’টি আসনেই জয়লাভের জন্য তৃণমূল প্রার্থীদের শুভেচ্ছা। বাংলাকে অসম্মান করার জন্য নিজেদের স্বার্থে সংবাদমাধ্যম ও কলকাতা হাই কোর্টের একাংশ এবং জমিদারদের তৈরি করা আখ্যান ভেস্তে দিয়েছে তৃণমূল।’’ এর পর মাদারিহাটের মানুষকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। ওই কেন্দ্রটি বিজেপির দখলে ছিল। উপনির্বাচনে তা-ও ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। অভিষেকের কথায়, ‘‘মাদারিহাটের মানুষকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ। আমাদের প্রথম বার সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন আপনারা। গণতান্ত্রিক ভাবে বাংলা-বিরোধীদের হারিয়ে আমাদের উপরে ভরসা রাখার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে আমি মাথা নত করছি।’’ দলের তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ‘সেনাপতি’।
পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ রাজ্যের ছ’টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে গত ১৩ নভেম্বর। কোচবিহারের সিতাই, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার তালড্যাংরা এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও নৈহাটিতে শনিবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোটগণনা। দুপুরের মধ্যে পাঁচটি আসনে তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী বলে ঘোষিত। উপনির্বাচনে এমনিতেই শাসকদলের পালে জয়ের হাওয়া থাকে। সিতাই, নৈহাটি এবং হাড়োয়ায় তৃণমূলের জয় একপ্রকার নিশ্চিত ছিল। তবে বিজেপির দখলে থাকা উত্তরবঙ্গের মাদারিহাটে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো। এ ছাড়া, সিতাইয়ে সঙ্গীতা রায়, নৈহাটিতে সনৎ দে এবং হাড়োয়াতে শেখ রবিউল ইসলাম বড় ব্যবধানে জিতেছেন। তালড্যাংরার ফল এখনও ঘোষিত নয়। তবে ওই কেন্দ্রেও এগিয়ে তৃণমূল।