• অবিকল বাঘের মতো, রাত বেরাতে হানা দিচ্ছে এলাকায়
    এই সময় | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ডানকুনির বাগপাড়ায় বাঘরোল আতঙ্ক। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এলাকা থেকে হাঁস, মুরগি চুরি হয়ে যাচ্ছে, ছাগলও গায়েব হয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে ডানকুনি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের খড়িয়াল বাগপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের। তাঁদের ভয়, বাড়ির বাচ্চা তুলে নিয়ে যদি পালায়!

    এলাকার লোকজনের দাবি, সম্প্রতি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে চার পেয়ে এক জন্তুর চলাচলের ছবি। দেখতে অবিকল বাঘের মতো। প্রথমে এমনও রটে যায়, এলাকায় বাঘ আসছে। পরে অবশ্য এ দিক ও দিক খোঁজ নিয়ে স্পষ্ট হয়, এ কাণ্ড বাঘরোলের। এ পাড়ার পাশেই রয়েছে জলাজমি। সেখানেই ওই ফিশিং ক্যাট বা মেছো বিড়ালের বাস বলে মনে করছেন এলাকার লোকজন। তাতেই আতঙ্ক বেড়েছে স্থানীয় লোকজনের।

    অনেকেই জানেন না, বাঘরোল পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ ইউনিয়ন বা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (IUCN) এদের সংরক্ষণের লাল তালিকায় রাখে। ফেব্রুয়ারি মাসকে আন্তর্জাতিক ভাবে ফিশিং ক্যাট ফেব্রুয়ারি হিসাবে ঘোষণাও করা হয়েছে। বৃহৎ মার্জার গোষ্ঠীর একমাত্র প্রাণী হল বাঘরোল, যারা জলে ডুবে শিকার ধরে। বিড়াল জাতীয় প্রাণী সাধারণত জলে নামে না। তবে বাঘরোলের ক্ষেত্রে জল হল বেঁচে থাকার অন্যতম শর্ত।

    যদিও এখন জলা জমি বুজিয়ে নির্মাণ হচ্ছে। তাতেই খাদ্য সঙ্কটে ভুগে লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে মেছো বিড়ালের দল। ডানকুনি, হিন্দমোটর, কোন্নগর, রিষড়ায় এক সময় প্রচুর বাঘরোলের দেখা মিলত। বন দপ্তর বার বারই বলে, ওদের দেখে অযথা আতঙ্কের কারণ নেই। তবে ওদের সঙ্গে মানুষের পরিচিতি না থাকায়, হঠাৎ দেখলে ঘাবড়ে যান অনেকেই। এতে নির্দয়ও হয়ে পড়েন কেউ কেউ।

    বাঘরোলের হানা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বাগপাড়ার বাসিন্দারা। কাউন্সিলর শেখ আশরফ জানান, মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বন দপ্তরের সাহায্য নিয়ে খাঁচা পাতার ব্যবস্থা করা হবে।
  • Link to this news (এই সময়)