সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাটের বিনোদপুর সমবায়ের ভোটে ৫৯টি আসনেই জয় নিশ্চিত করল তৃণমূল। বিরোধীরা কোনও মনোনয়নপত্র না দেওয়ায় সমস্ত আসনে শাসকদলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। কিন্তু সিপিএমের অভিযোগ, সমবায়ের আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। তারা এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে।
১৬-২০ নভেম্বর মনোনয়নপর্ব চলে। এই সময়ে তৃণমূলের তরফে ৬২টি মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বিরোধীদের কেউই মনোনয়নপত্র তুলতে আসেননি। শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন ছিল। এদিন তৃণমূলের তরফে তিনটি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ফলে সমস্ত আসনেই ঘাসফুলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়।
শাসকদলের দখলবাটি অঞ্চল সভাপতি ডাবলু শেখ বলেন, বিরোধীদের হয়ে কেউ মনোনয়নপত্র তুলতে আসেনি। কারণ ওরা প্রার্থী খুঁজে পায়নি। প্রতিটি আসনেই তৃণমূল প্রার্থীরা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। সমবায়ের ম্যানেজার এনামুল হক বলেন, ১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার দিন। ওইদিন অফিসিয়ালি ঘোষণা হবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব মল্লিক বলেন, অন্য সমবায় নির্বাচনে দিনক্ষণ জানতে পারলেও বিনোদপুরে সমবায় নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। তৃণমূল ছাড়া কাউকে জানতেই দেওয়া হয়নি। গোপনে মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে। সমবায় আইন লঙ্ঘন করায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।
এবিষয়ে এনামুল সাহেব বলেন, স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত ও সমবায় অফিসে নির্বাচন-সংক্রান্ত নোটিসও টাঙানো হয়েছিল। ঘরে ঘরে জানানো তো সম্ভব নয়। জেলা এআরসিএস প্রসেনজিৎ দে বলেন, আমি বাইরে রয়েছি। সোমবার খোঁজখবর নিয়ে দেখে বলব।