• গভীর রাতে পুলিসি অভিযানে ধরা পড়ল বালি, গোরু ও কয়লা
    বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, সিউড়ি ও রামপুরহাট: বীরভূমের জাতীয় সড়ক পাচার চক্রের অন্যতম করিডর হয়ে উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুলিসের অভিযানে উঠে এল সেই চিত্র। শুক্রবার মধ্যরাতে জেলার ইলামবাজার থেকে সিউড়ি পর্যন্ত ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লাগাতার অভিযানে ধরা পড়ল অবৈধ বালি, গোরু, কয়লা। আগে পুলিসি অভিযানের আগেই পাচারকারীরা খবর পেয়ে যেত। খবর পেয়ে পাচারের রুট বদল করত পাচারকারীরা। কিন্তু, শুক্রবার পুলিসের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে একাধিক বালিবোঝাই লরি, গবাদি পশু ভর্তি পিকআপ ভ্যান ও কয়লা বোঝাই বাইক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গভীর রাতে বর্ধমান থেকে জয়দেব হয়ে ইলামবাজারের দিকে যাওয়ার সময় জাতীয় সড়কের ওপর একটি গোরুবোঝাই পিকআপ ভ্যান আটক করে পুলিস। ওই ভ্যানে ১৩টি গোরু ছিল। সেই সঙ্গে পাঁচ জন পাচারকারীকে পুলিস আটক করেছে। ওই গোরু নিয়ে যাওয়ার কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি পাচারকারীরা। 


    এরপর রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ দুবরাজপুর থানার হেতমপুরের কাছে জাতীয় সড়কে অবৈধ কয়লা বোঝাই মোটরবাইক আটক করে পুলিস। ওই বাইক থেকে চার কুইন্টাল বেআইনি কয়লা উদ্ধার হয়। সেই সঙ্গে বাইকচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। 


    রাত সাড়ে ৪টে নাগাদ সদাইপুর থানার বাঁধেরশোলের কাছে জাতীয় সড়কের ওপর মূর্শিদাবাদগামী দুটি ওভারলোড বালি বোঝাই লরি আটক করে পুলিস। লরি দুটি দুবরাজপুরের লোবায় অজয়ের বালিঘাট থেকে বালি বোঝাই করেছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। যদিও সেই বালি নিয়ে যাওয়ার কোনও বৈধ চালান দেখাতে পারেনি লরির চালকরা। তাই পুলিস লরি দু’টি আটক করেছে। এছাড়াও সিউড়ি থানার মিনি স্টিলের কাছে আরও একটি ওভারলোডেড বালি বোঝাই ট্রাক্টর আটক করে পুলিস। সেখানেও ট্রাক্টর চালক কোনও বৈধ চালান দেখাতে পারেনি। আবার ভোরবেলায় মিনি স্টিলের কাছেই বাঁকুড়া থেকে আসা  গোরু বোঝাই দুটি পিক আপ ভ্যান ধরা পড়ে। ওই দু’টি পিকআপ ভ্যানে ২৬টি গোরু ছিল। পিকআপ ভ্যান দু’টি মুর্শিদাবাদে যাচ্ছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে। ওই ঘটনায় দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। বাকিরা পালিয়ে যায়। জাতীয় সড়ক পাচার চক্রের করিডর হয়ে উঠেছে দেখে পুলিসও স্তম্ভিত। জেলা পুলিসের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, পুলিস সুপারের নির্দেশে এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চলে। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরও কড়াভাবে পাচার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ বালি মজুতকারীদের বিরুদ্ধে শনিবার অভিযানে নামে নলহাটি-১ ব্লক প্রশাসন। নলহাটিতে ব্রাহ্মণী নদী তীরবর্তী লক্ষ্মীজোল গ্রামে অভিযানে আসেন ব্লক প্রশাসন ও পুলিস। সেখানে একাধিক জায়গায় বালি মজুত করে লরি ও ট্রাক্টরে চাপিয়ে পাচার হচ্ছিল। এদিন অভিযানে প্রচুর বালি বা঩জেয়াপ্ত করা হয়। বিএলএলআরও রক্তিম ঘোষ বলেন, অবৈধ বালির কারবার নিয়ে কেউ অভিযোগ জানায়নি। ফলে এই কারবার চলত বলে জানা ছিল না। 
  • Link to this news (বর্তমান)