• শহরের বাজারে অভিযান মহকুমা শাসকের অসঙ্গতি থাকায় দোকান সিল
    বর্তমান | ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: দাম নিয়ন্ত্রণে শনিবার মাথাভাঙা শহরের সব্জি বাজারে অভিযান চালালেন মহকুমা শাসক। এদিন মহকুমা শাসক সহ আধিকারিকরা বাজারে সব্জির দাম যাচাই করেন। গোপাল সাহা নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন মহকুমা শাসক। পরে দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়। যদিও ওই ব্যবসায়ীর দাবি, আমার কিছু নথিপত্র ছেলের কাছে থাকায় সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন দোকান সিল করে দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপালবাবুর ট্রেড লাইসেন্স রিনিউয়াল নেই। সেইসঙ্গে আরএমসি’র ট্যাক্স জমা না দেওয়া ও আলুর দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগে দোকান সিল করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ী বাজার কমিটির সম্পাদক, মাথাভাঙা ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি, একই সঙ্গে কোচবিহার জেলা আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সহ উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতির পদাধিকারী। যদিও গোপালবাবুর দাবি, ব্যবসায় কাজে ব্যস্ত থাকায় সময় পাননি। সেকারণেই এমনটা হয়েছে। শীঘ্রই সমস্ত নথিপত্র ঠিক করে নেবেন।


    মাথাভাঙায় পাইকারি বাজারে আলুর দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে খুচরো বাজারেও দাম বেড়েছে। শনিবার মহকুমা শাসক আধিকারিকদের নিয়ে মাথাভাঙা বাজারে অভিযান করেন। তাঁরা দামের সঙ্গে সব্জির মানও যাচাই করেন। মহকুমা শাসক নবনীত মিত্তল বলেন, বাজারে এদিন অভিযান চালানো হয়েছে। একটি দোকানে আমাদের সামনেই দাম বেশি নেওয়া হচ্ছিল। দোকানদারকে এনিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তর্ক জুড়ে দেন। ওই দোকানের ট্রেড লাইসেন্স ঠিক নেই। আরএমসি’র ট্যাক্স রসিদও নেই। আলু বেআইনিভাবে মজুত করে রাখা ছিল। দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সঞ্জীব পোদ্দার বলেন, গোপাল সাহার দোকান সিল করা হয়েছে শুনেছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। 


    গোপাল সাহা বলেন, এদিন মহকুমা শাসক দোকানে এসে নথিপত্র দেখতে চান। আমার ছেলে কাগজপত্র রেখেছে। ও না থাকায় সময় চেয়েছিলাম। কিন্তু মহকুমা শাসক কোনও কথা না শুনেই দোকান সিল করে দিয়েছেন। ট্রেড লাইসেন্সের টাকা এদিনই জমা দিয়েছি। আরএমসির ট্যাক্স অল্প বাকি রয়েছে, শীঘ্রই দিয়ে দেব।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)